ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৪ ঘন্টা আগে

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল, ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে, আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) তিনি এই নোটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বরাবর পাঠান।

নোটিশে ইসকনকে একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে আসছে।

লিগ্যাল নোটিশে উত্থাপিত বিষয়গুলো

নোটিশে বলা হয়েছে, ইসকন ধর্মীয় উসকানিমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো:

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পরিবর্তনের চেষ্টা: ইসকন সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর নিজস্ব মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং নিম্নবর্ণের হিন্দুদের সদস্য বানিয়ে নিজেদের দল ভারী করছে।
মসজিদে হামলার অভিযোগ: সম্প্রতি ঢাকার স্বামীবাগ মসজিদের তারাবির নামাজ বন্ধ করার ঘটনায় ইসকনের বিরুদ্ধে গান-বাজনার মাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রীতি বিনষ্টের পরিকল্পনা: নোটিশে ইসকনের বিরুদ্ধে সনাতন মন্দির দখল এবং বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরির মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের বিস্তার ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয় যে, জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইসকন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ইসকন নিষিদ্ধের আন্তর্জাতিক উদাহরণ

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসকনকে ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নেও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিল। এছাড়া তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রম কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি

নোটিশে বলা হয়, “ইসকনের কার্যক্রম দেশের আইন, শৃঙ্খলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি। সংগঠনটির কার্যক্রম বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।”