শিরোনাম

মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

ক্ষুদ্রঋণকে কেবল এনজিওর আওতায় রাখলে তাতে ব্যাংকিংয়ের কাঠামো ও শৃঙ্খলা আসবে না—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এজন্য পৃথক একটি মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক গঠন করতে হবে এবং তা পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন জরুরি।

শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়—মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকগুলো সদস্যদের সঞ্চয় গ্রহণ করতে পারলেও বাইরের কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে আমানত নিতে পারে না। এটি একটি বড় সীমাবদ্ধতা। তাই নতুন আইন করে এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে। তবে এসব ব্যাংকের জন্য লাইসেন্স প্রদানকালে তাদের কাজের ক্ষেত্র ও সীমা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে এগুলো হবে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে লাভ বা মুনাফা করার সুযোগ থাকবে না। এ লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সহায়তা প্রদান করবে, যেন মানুষ চাকরির পেছনে না ছুটে স্বনির্ভর হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৃত ব্যাংক হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক, অন্যগুলো কেবলমাত্র নামমাত্র ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে উঠেছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে, সেখানে জামানতের প্রয়োজন পড়ে না—যা অন্য কোনো ব্যাংকে দেখা যায় না। যারা নিজেদের আসল ব্যাংক বলে দাবি করছে, তারা এখন আর সেই অবস্থানে নেই। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক এখনো টিকে আছে, কারণ এটি গড়ে উঠেছে মানুষের পরিচয় ও বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে। ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যতের ব্যাংকিং ব্যবস্থার পথনির্দেশক হবে গ্রামীণ ব্যাংকের এই কার্যক্রম।