শিরোনাম

মহান বিজয় দিবসে যেসব কর্মসূচি পালন করবে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সরকার জাতীয় পর্যায়ে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, বিদেশি কূটনীতিক এবং সর্বস্তরের জনগণও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এই দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত থাকবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকার সাজে সজ্জিত করা হবে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ বার্তা প্রদান করবেন। সংবাদপত্রগুলো দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। টেলিভিশন চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো পুরো মাসজুড়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয় মেলার আয়োজন করা হবে, যেখানে স্থানীয় পণ্যের প্রদর্শনী এবং শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মান জানাতে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।

বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে শান্তি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল এবং জেলখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।

ডাক বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। দেশের শিশু পার্ক, জাদুঘর এবং সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বিনামূল্যে প্রদর্শন করা হবে, যা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।