র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “র্যাবের বিরুদ্ধে গুম, খুনসহ কিছু অভিযোগ রয়েছে। র্যাবের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে র্যাব কোনো বেআইনি কার্যক্রমে জড়িত হবে না। সেসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, র্যাবের অতীতে আয়নাঘরের মতো কিছু বিষয় ছিল, সেগুলোর তদন্ত চলছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর মতো ঘটনাগুলোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করছে। এ ধরনের তদন্তে র্যাব সব ধরনের সহযোগিতা করছে।
র্যাব মহাপরিচালক জানান, গত ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাবের সদস্যরা কাজ শুরু করে। তবে এই সময়ের মধ্যে র্যাবের ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে।
তিনি জানান, “র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫৮ জন কর্মকর্তা এবং ৪ হাজার ২৪৬ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধের জন্য শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আমরা যে কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”