প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বগুড়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছিল, এবং শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের শুরুতে এটি বাস্তবায়ন করা হতো।
তবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।
মানবজমিনের তথ্য অনুযায়ী, গণভবনে একাধিক বৈঠকে জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে বগুড়ায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বিগত কয়েক বছর ধরেই আওয়ামী লীগের নেতারা জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর বিষয়ে আলোচনা করে আসছিলেন। এমনকি জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে বিতর্ক হয়। শেখ হাসিনা নিজেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তাঁর এই বক্তব্যের ভিত্তিতে দলীয় নেতারাও সক্রিয় হন এবং কটাক্ষ করে বলেন, “জিয়াউর রহমানের কবরে লাশ নেই।”