শিরোনাম

শেখ হাসিনার অর্থ পাচারের তথ্য পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

আগামী প্রজন্মকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে অর্থ পাচার ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তথ্য পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম এই তথ্য জানান।

শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন জমা

শফিকুল আলম জানান, আর্থিক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিন মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদনটি রোববার সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শ্বেতপত্রটি শিগগিরই জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হবে।

প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন কমিটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

প্রকল্প খরচে অনিয়মের চিত্র

তদন্তকৃত সাতটি প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ১,১৪,০০০ কোটি টাকা। তবে জমির দাম বাড়ানো, ক্রয়ের ক্ষেত্রে হেরফের, এবং অতিরিক্ত উপাদান যুক্ত করে প্রকল্প ব্যয় সংশোধিত করে ১,৯৫,০০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, “প্রকল্পগুলোর ব্যয়-সুবিধা বিশ্লেষণ ছাড়াই বাজেট প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা আর্থিক দুর্নীতির স্পষ্ট উদাহরণ।”

এডিপি ব্যয়ে দুর্নীতি

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থ বিভিন্ন আমলা ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ কে এনামুল হকের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “এডিপির অর্থনৈতিক অপব্যবহার দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ফেলেছে এবং এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে দেশের উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

উপস্থিত ব্যক্তিরা

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং কমিটির সদস্য অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

  • অর্থ পাচারের শ্বেতপত্র
  • আর্থিক খাত অনিয়ম
  • এডিপি দুর্নীতি
  • প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস
  • বাংলাদেশের আর্থিক সংকট
  • শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতি
  •