ছাত্রদের উপর হামলাকারী শেখ রিজুকে অতিথি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা! মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভ মিছিল ।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর শেখ রিজুকে অতিথি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোয় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মাগুরার মহম্মদপুরে চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল।
জানা গেছে, তিনি গত ৪ আগস্ট মাগুরা জেলার মহম্মদপুরে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সশরীরে উপস্থিত থেকে ছাত্রদের উপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছাত্রদের উপর এই হামলায় একাধিক নিরীহ ছাত্র শহীদ হয়েছেন। কেবল তাই নয়, তিনি হলেন সাবেক ভোটচোর এমপি, খুনী হাসিনার সহকারী সচিব, ভূমিদস্যু সাইফুজ্জামান শেখরের বোন জামাই। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও খুনি রিজুকে কীভাবে এমন একটি সম্মাননা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ।
জুলাই গণহত্যার ৩ মাস যেতে না যেতেই শেখ রিজুর মতো ফ্যাসিস্টদের অতিথি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানাচ্ছে আওয়ামী স্বার্থে গড়া মহম্মদপুর উপজেলা প্রসাশন। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করাই এসব দালালদের আসল উদ্দেশ্য।
এ ঘটনার পরই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মহম্মদপুর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শেখ রিজু মিয়াকে উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুনর্বাসন করায় ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্বৈরাচারী মনোভাব এখনো বিদ্যমান থাকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমেছে মহম্মদপুর শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মহম্মদপুর উপজেলা প্রশাসন, মহম্মদপুর থানাকে অতিদ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেছে ছাত্রসমাজ।
প্রসঙ্গত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দালাল শেখ রিজু একজন খুনী, ক্ষমতালোভী ও অত্যন্ত দুর্নীতিবাজ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব। ভূমিদস্যু সাইফুজ্জামান শেখরের ছত্রছায়ায় দুর্নীতির মাধ্যমে রিজু রীতিমতো আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন। নামে-বেনামে তিনি গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার করা ক্ষমতালোভী রিজুর চরিত্রের অন্যতম স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কেবল তাই নয়, নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে তিনি বিগত সরকারের কাছ থেকে সবধরনের সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন। তাই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর খুনী রিুজুকে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাই আওয়ামী সরকারের দালাল শেখ রিজুকে মুক্তিযোদ্ধাদের কমিটি থেকে প্রত্যাহার এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখন সময়ের দাবি।