সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে, কারণ অভিযোগ উঠেছে যে তিনি দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে নিজেই বক্তব্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অপরাধ দমনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে—এ ব্যাপারে তিনি অবগত কিনা। জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমার পদত্যাগের দাবি নতুন কিছু নয়। তারা যে কারণে পদত্যাগ চাচ্ছে, আমি যদি সে বিষয়গুলোর উন্নতি করতে পারি, তাহলে আর পদত্যাগের প্রশ্ন আসে না।”
তিনি আরও বলেন, জনগণ চায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হোক, আর তিনি সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে।
এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন যে, একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে সক্রিয় রয়েছে এবং সরকার তা কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না। তিনি বলেন, “আমরা যেভাবেই হোক অপরাধ প্রতিহত করব। প্রয়োজন হলে আমাদের বাহিনী দিন-রাত কাজ করবে এবং অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বাহিনীর সদস্যদের টহল আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং জোর দিয়ে বলেন, “আগামীকাল থেকে যেন কোথাও কোনো অপরাধ সংগঠিত না হয়, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাহিনীর কেউ দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাগত উন্নতির দিকেই যাবে।”
এর আগে, দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা রোববার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন। জানা গেছে, হল এলাকার ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা “এক দফা এক দাবি” স্লোগান দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান এবং ঘোষণা দেন যে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।