শিরোনাম

পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, দেশে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও পরিবহন খাতে এখনো মাফিয়াদের আধিপত্য চলছে। তিনি বলেছেন, পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

পরিবহনখাতের চাঁদাবাজি নিয়ে বক্তব্য

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণপরিবহন সংস্কার জাতীয় কমিটির এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নুর উল্লেখ করেন, টিআইবির তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর পরিবহন খাত থেকে ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদার ভাগ অনেক উচ্চপর্যায়ের নেতাসহ ছোট বড় সুবিধাভোগীরাও পান। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, তাই দেশে আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—চাঁদাবাজ ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে।”

পরিবহন মালিক সমিতিতে শৃঙ্খলা আনার দাবি

নুর আরও বলেন, পরিবহন মালিক সমিতিতে প্রকৃত মালিকদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। কোনো দুর্বৃত্ত যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারে সেদিকে কঠোর নজর দিতে হবে। যানজট সমস্যার সমাধানে বিশেষজ্ঞদের মতামত কাজে লাগিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

সয়াবিন তেলের সংকট এবং সিন্ডিকেট প্রসঙ্গ

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, “তেল সিন্ডিকেটকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে মজুদ করে সংকট তৈরি করেছে। সরকার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে দাম বাড়িয়েছে, যা অগ্রহণযোগ্য। তেল আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের বক্তব্য

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পরও পরিবহন খাতে নৈরাজ্য থেমে নেই। সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়েছে, তবে সংকট সমাধান হয়নি। পরিবহন সেক্টরে কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর আধিপত্য না থাকাই একমাত্র সমাধান।”

সভায় অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য

আলোচনা সভায় পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ চৌধুরী শিহাব, শ্রমিক নেতা সোহেল রানা সম্পদসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। তারা পরিবহন খাতের নৈরাজ্য বন্ধে মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে সমিতি পরিচালনার ওপর জোর দেন।

প্রস্তাবিত সমাধান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

  1. পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বন্ধ।
  2. প্রকৃত পরিবহন মালিকদের নিয়ে মালিক সমিতি গঠন।
  3. যানজট নিরসনে বিশেষজ্ঞদের মতামত কাজে লাগানো।
  4. সিন্ডিকেট নির্মূল করে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
  5. পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে শক্তিশালী নীতিমালা প্রণয়ন।
  • পরিবহন
  •