সামরিক কবরস্থানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তিন বাহিনী প্রধানের শ্রদ্ধা

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তিনি বনানী সামরিক কবরস্থানে শায়িত পিলখানার শহীদ সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শহীদ পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। শেষে শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।

পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৬ বছর

আজ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পূর্ণ হলো। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিদ্রোহের ঘটনায় মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বিভীষিকাময় এই দিনটি এবার প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক পরিপত্র জারি করে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

পিলখানার সেই ভয়াবহ ঘটনা

২০০৯ সালে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, লাশ গুম ও পোড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়। পরিবারের সদস্যরাও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। দেশের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরনের আঘাত। এমনকি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও একসঙ্গে এতজন সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি ঘটেনি।

জাতির জন্য শোকাবহ এই দিনটিতে শহীদদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।