শিরোনাম

ভারতের কোনো দালাল প্রতিনিধিকে আমরা বরদাশত করবো না

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, বাংলাদেশ এ দেশের মানুষের। এখানে ভারতের বিদ্বেষ বা দালাল প্রতিনিধিত্ব কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। দেশের ৮ কোটি যুবক ও ৮ কোটি কৃষক দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কে কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, “বিশ্ব রাজনীতিতে আমরা একা নই। আমাদের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ রয়েছে।”

কৃষকের অবদান নিয়ে বক্তব্য

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কৃষকরা ফসল উৎপাদন না করলে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়বে। শহরবাসী, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবীদের জীবনযাপনও কৃষকদের উপর নির্ভরশীল।

তিনি আরও বলেন, “কৃষকের সন্তানরা গার্মেন্টস কারখানায় কাজ না করলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে না। প্রবাসে শ্রমিক হিসেবে কাজ না করলে রেমিট্যান্স বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে ব্যাংকগুলো স্থবির হয়ে পড়বে এবং কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।”

শেখ হাসিনা ও ভারতের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বক্তব্য

তিনি অভিযোগ করেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। সেখান থেকে তিনি সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন। ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার তাকে সমর্থন দিচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ভারতের মমতা ব্যানার্জির কোনো হুমকি-ধমকিকে পরোয়া করে না। সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে এ দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব নয়।”

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বক্তব্য

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন—

  • কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম,
  • কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ,
  • জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী,
  • মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা,
  • মহানগর কৃষক দলের সদস্যসচিব মুরাদ হোসেন প্রমুখ।

শোভাযাত্রার আয়োজন

সমাবেশ শেষে কৃষক দলের উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ব্রাহ্মসমাজ সড়ক থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

Krishibid Group Real Estate-ads