দুই মাস আগে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তবে সম্প্রতি একটি গুঞ্জন শোনা যায়, তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে যাচ্ছেন। তবে ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা এই ধরনের খবর বা গুঞ্জনকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়েও শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ছিলেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন শাসক শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন, এবং অভিযোগ রয়েছে যে তিনি ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে কি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কিছু আলোচনা হয়েছে?
ম্যাথিউ মিলার এর জবাবে বলেন, “আমি বলতে পারি যে ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ইস্যুগুলো প্রায়শই আলোচনায় আসে। তবে আমার কাছে এ বিষয়ে দেওয়ার মতো কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই।”
এরপর সাংবাদিক আরেকটি প্রশ্ন করেন, “গণহত্যা ও নৃশংসতার শিকার হওয়ার পর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে পরিচালনা করছে?”
মুখপাত্র মিলার উত্তর দেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এসব ইস্যুতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সেক্রেটারি (অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে একটি সফল বৈঠক করেছেন, এবং আমরা এই বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করছি।”