বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিশ্বখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি লিভারের ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন এবং লন্ডনে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বার্টস অ্যান্ড দ্য লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রিতে অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।
অধ্যাপক কেনেডি ক্রনিক হেপাটাইটিস বি (সিএইচবি) রোগের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য পরিচিত। এ পর্যন্ত তিনি ২০০টিরও বেশি গবেষণাপত্র এবং একাধিক বই প্রকাশ করেছেন। তার রোগী পরামর্শের ফি প্রাথমিকভাবে £৩৫০ এবং ফলোআপ ফি £২৫০।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদ্রোগ, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং ফুসফুসজনিত রোগসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার প্রতিস্থাপন তার জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। পুরো চিকিৎসা সম্পন্ন করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার বেলা ৩টার দিকে কাতারের আমিরের পাঠানো একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে পৌঁছান। লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তারেক রহমান মাকে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকে যান।
খালেদা জিয়া সাত বছর আগে যুক্তরাজ্যে চোখ ও পায়ের চিকিৎসা করান। ২০২৩ সালে ঢাকায় জনস হপকিনস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা তার রক্তনালীতে সফল অস্ত্রোপচার করেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিল। তবে সরকার অনুমতি না দিলেও শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন।