ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এই লংমার্চটি বাংলাদেশে ভারতের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার নায়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। এর আগে নয়াপল্টনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
লংমার্চটি ভৈরব মোড়ে একটি পথসভা করবে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী এবং সভাপতিত্ব করবেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না।
লংমার্চটি আখাউড়ায় একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না এবং সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
এটি উল্লেখযোগ্য যে, গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনারের দিকে পদযাত্রা করেছিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে রামপুরা পর্যন্ত যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদযাত্রাটি থামিয়ে দেয়, পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে স্মারকলিপি দেয়।
গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়, যার সঙ্গে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামক একটি সংগঠনের সদস্যরা জড়িত। হামলাকারীরা বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে সেটিতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এটি ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।