সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন। রাত ১০টায় তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এই উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির প্রদত্ত বিশেষ সুবিধাযুক্ত কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছয় চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য সহায়ক কর্মীরা থাকবেন।
হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা সুপারিশ করলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন, এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হন এবং দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি অবস্থায় ছিলেন। ২০২০ সালের মার্চে সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তারপর থেকে তাকে প্রায় সময়ই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
এবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা পরিবার বহুবার আবেদন করলেও তৎকালীন সরকার প্রত্যাখ্যান করেছিল। এর মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদয়ে পেসমেকার বসানো হয় এবং তিনটি ব্লক ছিল তার হার্টে, একটিতে রিং পরানো হয়। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
আজ রাতে গুলশান থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন খালেদা জিয়া, এবং বিমানবন্দরে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিনি রাত ১০টায় যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।