মিরপুরের পরিচিত পরিবেশেও ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ থেমেছে ১০৬ রানে। দুই সেশনও খেলতে পারেনি তারা; ইনিংস শেষ হয়ে গেছে মাত্র ৪০ ওভারে।
এইদিন টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। একাদশে একটি পেসার এবং তিন স্পিনার নিয়ে পরিকল্পনা সাজানো হয়। এই ম্যাচে অভিষেক হয় জাকের আলীর। চোট থেকে ফিরে একাদশে স্থান পান মাহমুদুল হাসান জয়।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ভারত সিরিজের ব্যর্থতা ভুলে পাকিস্তান সিরিজের সাফল্য পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েন তারা। ওপেনার মাহমুদুল খান কিছুটা লড়াই করেছেন, কিন্তু বাকিরা তার সঙ্গে সঙ্গ দিতে পারেননি। লাঞ্চ বিরতির আগে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
ওপেনার সাদমান ইসলাম শূন্য রানে ফিরেন উইয়ান মুল্ডারের বল ধরে। একই স্পেলে এই পেসার আরও দুটি উইকেট নেন, ফলে ২১ রানে ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪ এবং শান্ত ৭ রান করে আউট হন। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও বিপর্যয় কাটাতে পারেননি; তিনি ১১ রান করে ফিরেন। কাগিসো রাবাদার দুর্দান্ত এক ইনসুইং ডেলিভারিতে তার স্টাম্প ভেঙে যায়, যা রাবাদার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ তম উইকেট।
লিটন দাসও বাংলাদেশের বিপদে ঢাল হতে পারেননি। তিনি ১ রান করেই ফিরে যান। মেহেদী হাসান মিরাজও হতাশ করেছেন, ১৩ রান করে আউট হন।
লাঞ্চের পর ব্যক্তিগত ৩০ রান করে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল হাসান জয়। অভিষেক টেস্টে জাকের আলী মাত্র ২ রানে আউট হন। পরে নাঈম হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ একশ পার করেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু নাঈম ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর তাইজুলও ১৬ রান করে আউট হন। এর ফলে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ১০৬ রানে। কাগিসো রাবাদা, মুল্ডার এবং কেশভ মহারাজ প্রত্যেকেই ৩টি করে উইকেট নেন।