শিরোনাম

স্থায়ীভাবে ভারত ছাড়ছেন কোহলি-আনুষ্কা!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে
কোহলি-আনুষ্কা

ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি যেন তার ক্যারিয়ারের পড়ন্ত অধ্যায়ে পৌঁছে গেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন তিনি। তবে ওয়ানডে এবং টেস্টে সময়টা তেমন ভালো কাটছে না। চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও ছন্দহীন পারফরম্যান্স করছেন এই তারকা। এরই মধ্যে একটি বড় গুঞ্জন সামনে এসেছে— কোহলি নাকি পরিবারসহ ভারতের বাইরে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।


কোচের বক্তব্যে উসকে উঠল গুঞ্জন

ভারতের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোহলি পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বিষয়টি আরও জোরালো হয় তার শৈশবের কোচ রাজকুমার শর্মার সাম্প্রতিক মন্তব্যে। এক সাক্ষাৎকারে রাজকুমার বলেন, ‘কোহলি খুব শিগগিরই তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে স্থায়ী হওয়ার কথা ভাবছেন।’

রাজকুমারের বক্তব্যে আরও জানা যায়, কোহলি এখনই ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভাবছেন না। বরং দেশের হয়ে অন্তত আরও পাঁচ বছর খেলার ইচ্ছা রয়েছে তার।


লন্ডনে কোহলি পরিবারের সময় কাটানো

বিরাট কোহলি ও তার স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা বিভিন্ন সময় লন্ডনে সময় কাটাতে দেখা যায়। তাদের ছেলে অকায় ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করার সুবাদে ইতোমধ্যেই জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছে। বেশ কয়েকবার লন্ডনের রাস্তায় পরিবারসহ ঘুরে বেড়ানোর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

লন্ডনে ইস্কনের মন্দিরে কীর্তন শুনতেও দেখা গেছে কোহলি-অনুষ্কাকে। এই নিয়মিত উপস্থিতির কারণে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছে যে, তারা ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা থাকবেন না। এবার রাজকুমার শর্মার মন্তব্যে সেই জল্পনায় আরও বিশ্বাসযোগ্যতা যোগ হয়েছে।


কোহলির ক্যারিয়ার নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী

কোহলির আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়ার পর তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কোচ রাজকুমার শর্মার মতে, কোহলি আরও অন্তত পাঁচ বছর ভারতের জার্সিতে খেলে যাবেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তার সময়টা ভালো যাচ্ছে না, তবে বিরাট এখনও নিজেকে প্রমাণ করতে পারে এবং ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য অবদান রাখতে পারে।’


কোহলির পরিকল্পনা: ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের ভারসাম্য

বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা পরিবারকেন্দ্রিক জীবনযাপনে মনোযোগ দিচ্ছেন। ক্রিকেট থেকে বিরতি পেলে বেশিরভাগ সময় তারা লন্ডনে কাটান। তাদের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়েও পরিকল্পনা করছেন, যা হয়তো যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হওয়ার দিকে ইঙ্গিত দেয়।