অ্যানফিল্ডে উত্তেজনায় ভরা এক ম্যাচে চমক দেখাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আগের তিন ম্যাচে গোলশূন্য থাকা দলটি লিভারপুলের মাঠে এসে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে খেলাটি ২-২ গোলে ড্র করে। এই ড্রয়ের ফলে আর্সেনালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করল আর্না স্লটের দল।
প্রথমার্ধে উভয় দলই সাধারণ মানের ফুটবল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে আসে নাটকীয়তা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে লিড নেয় ইউনাইটেড। কিছুক্ষণ পর কোডি গাকপোর গোলে লিভারপুল সমতায় ফেরে। এরপর মোহাম্মদ সালাহ পেনাল্টি থেকে গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন। তবে শেষ দিকে আমাদ দিয়ালো ইউনাইটেডের হয়ে সমতা ফেরান।
ইংল্যান্ডের উত্তরে তুষারপাতের কারণে ম্যাচটি মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা দূর করে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। টানা তিন ম্যাচ জয়ী লিভারপুল পয়েন্ট হারায়, আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চার ম্যাচ হারার পর অবশেষে পয়েন্ট তুলে নেয়।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট ছিল বেশ নিস্তেজ। ১৩তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণটি আসে লিভারপুলের পক্ষ থেকে। আলেকজান্ডার আর্নল্ডের শট প্রতিহত হলে ফিরতি বলে লুইস দিয়াস লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন। ১৬তম মিনিটে সালাহর থ্রু পাসে আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের শটটি গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা ঠেকিয়ে দেন।
এরপর পাল্টা আক্রমণে ইউনাইটেডের তরুণ মিডফিল্ডার কোবি মাইনো বক্সের সামনে সুযোগ পেলেও সঠিকভাবে হেড করতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্রুনো ফের্নান্দেসের রক্ষণচেরা থ্রু পাস থেকে লিসান্দ্রো মার্টিনেজ দুর্দান্ত শটে গোল করে ইউনাইটেডকে লিড এনে দেন। তবে লিভারপুল দ্রুতই সমতা ফেরায়। ম্যাক অ্যালিস্টারের পাস ধরে কোডি গাকপো এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন।
৭০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। ডি-বক্সে মাটাইস ডি লিখটের হাতে বল লাগলেও প্রথমে রেফারি তা দেখতে পাননি। ভিএআর দেখে তিনি পেনাল্টি দেন, যা থেকে এবারের লিগে সালাহর ১৮তম গোল হয়।
৮০তম মিনিটে ইউনাইটেড সমতা ফেরায়। আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস ধরে আমাদ দিয়ালো প্লেসিং শটে গোল করেন।
১৯ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৪ ড্রয়ে লিভারপুল ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। দুই নম্বরে থাকা আর্সেনালের সংগ্রহ ২০ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট। ২০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেড উঠে এসেছে ১৩তম স্থানে।