কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির (এলএএফসি) কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হওয়ার পর দ্বিতীয় লেগেও খেলার শুরুতেই একটি গোল হজম করে মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে মায়ামি। ফলে দুই ম্যাচে সম্মিলিত ফলাফল ৩-২ ব্যবধানে মায়ামির পক্ষে যায়।
মায়ামির এই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের নায়ক ছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার দুই গোলই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে যাঁর বিপক্ষে টাইব্রেকারসহ দুটি গোল করেছিলেন, সেই ফরাসি গোলরক্ষক উগো লরিসকেই এবার আবারও পরাস্ত করেন মেসি, যিনি বর্তমানে এলএএফসির হয়ে খেলছেন।
দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ৩৫ মিনিটে মেসি প্রথম গোলটি করেন বক্সের বাইরে থেকে তাঁর চেনা বাঁ পায়ের শটে। এরপর ৬১ মিনিটে সমতায় ফেরে মায়ামি, যদিও গোলটি ছিল অনেকটাই ভাগ্যের সহায়তায়। নোয়াহ অ্যালেনের করা ক্রসটি ফেদেরিকো রেদোনদোর উদ্দেশ্যে হলেও, শট নেওয়ার আগেই বলটি লাফিয়ে উঠে লরিসসহ সবাইকে ছিটকে দিয়ে জালে জড়িয়ে পড়ে।
যদিও দুই লেগ শেষে সমতা ফিরলেও অ্যাওয়ে গোল নিয়মে তখনো এগিয়ে ছিল এলএএফসি। এর মধ্যেই মেসির পাস থেকে লুইস সুয়ারেজ একটি হেডে বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়।
তবে মায়ামি আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় মারলনের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি পায় মায়ামি। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে দেন মেসি।
শেষ দিকে দলের জয় নিশ্চিত করেন মায়ামির গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। তাঁর দুটি অসাধারণ সেভ মায়ামিকে সেমিফাইনালে তুলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামির প্রতিপক্ষ হতে পারে মেক্সিকোর ক্লাব পুমাস কিংবা কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। এই ধাপের প্রথম লেগ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে পারে এপ্রিলের ২২, ২৩ অথবা ২৪ তারিখে।