লা লিগার শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে অবাক করে দিয়েছে অবনমন অঞ্চলের দল এস্পানিওল। তারকাসমৃদ্ধ দলটি একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি, বরং শেষ মুহূর্তে এস্পানিওলের কাউন্টার অ্যাটাকে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের। তবুও, ১-০ গোলের এই পরাজয়েও লিগের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
গতকাল (শনিবার) প্রতিপক্ষ এস্পানিওলের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ দাপট দেখালেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। ৭৭ শতাংশ বলের দখল এবং ২১টি শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের বড় অংশ জুড়ে গোলশূন্য লড়াই চললেও শেষ মুহূর্তে এস্পানিওল আক্রমণে উঠে যায় এবং কার্লোস রোমেরোর একমাত্র গোলটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
খেলার শুরুতেই ধাক্কা খায় রিয়াল, যখন ১৫তম মিনিটে চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার অ্যান্টোনিও রুডিগার। এরপরও আক্রমণের ধার ধরে রাখে সফরকারীরা, কিন্তু প্রথম গোলমুখী শট আসে ৩৯তম মিনিটে, যেখানে ব্যর্থ হন জুড বেলিংহ্যাম।
বিরতির পরও রিয়াল একের পর এক আক্রমণ চালায়। এস্পানিওলও পাল্টা সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। বেলিংহ্যামের শট গোলরক্ষকের হাতে জমা পড়ে, এমবাপের শট লাগে গোলপোস্টে। ভিনিসিয়ুস ও রদ্রিগোও বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু এস্পানিওলের গোলরক্ষক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান।
ম্যাচের শেষ অংশে রিয়াল মাদ্রিদ প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেও, ৮৫তম মিনিটে এস্পানিওলের পাল্টা আক্রমণে রোমেরো ছয় গজ বক্সের কোণা থেকে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন। এরপর আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়নি রিয়াল।
এই হারে রিয়ালের শীর্ষস্থানে থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমে এসেছে মাত্র এক পয়েন্টে। ২২ ম্যাচে রিয়ালের সংগ্রহ ৪৯ পয়েন্ট, আর সমান ম্যাচে অ্যাতলেটিকোর পয়েন্ট ৪৮। অন্যদিকে, এক ম্যাচ কম খেলে বার্সেলোনা ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে অবস্থান করছে। এস্পানিওল এই জয়ে ১৭তম স্থানে উঠে এসে অবনমন অঞ্চলের বাইরে চলে গেছে।