স্পেন আরও একবার পা রাখল একটি বড় ফাইনালে। সামনে রয়েছে আরেকটি বড় ম্যাচের সুযোগ। ইউরোপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এখন নেশনস লিগের শিরোপা ধরে রাখতে মিউনিখের পথে। ফ্রান্সের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে ৫-৪ গোলের জয় এনে নিয়েছে দলটি।
বর্তমান স্পেন দলকে আগের ‘সোনালি যুগের’ স্পেনের সঙ্গে তুলনা করলেও এখন তা খুব একটা বাড়াবাড়ি মনে হয় না। যদিও রক্ষণভাগে কিছু ঘাটতি এখনও আছে, যা আগের দল থেকে শেখার মতো।
পুরো ম্যাচজুড়ে নজরে ছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সী লামিন ইয়ামাল। পারফরম্যান্স দিয়ে আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধুই ভবিষ্যতের তারকা নন—এই মুহূর্তেই তিনি সেরাদের একজন। মৌসুমের শুরুতেই যাঁরা বলেছিলেন, তিনি ভবিষ্যতের সেরা হবেন—তাঁদের জন্য ইয়ামাল যেন বাস্তবতার উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।
ম্যাচ শুরুর আগেই আলোচনায় ছিল উসমান দেম্বেলের সঙ্গে তাঁর পারফরম্যান্স প্রতিযোগিতা, অনেকেই এটিকে ব্যালন ডি’অরের মঞ্চ বলে উল্লেখ করেছিলেন। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে এই মঞ্চে জয়ের মালা এখনই ইয়ামালের গলায়। দুইটি অসাধারণ গোল করেছেন তিনি, তবে প্রতিটি ছোঁয়ায়ই ছড়িয়েছেন ভয়ংকর দাপট। যদিও দেম্বেলেও ভালো খেলেছেন, কিন্তু গোলের দেখা পাননি, ফলে এই দ্বৈরথেও জিতেছেন ইয়ামাল।
তবে ইয়ামালের গোলের আগেই স্পেন এগিয়ে যায়। নিকো উইলিয়ামস এবং মিকেল মেরিনোর গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপর ইয়ামালের এক গোলের মাঝে পেদ্রি করেন আরেকটি দারুণ গোল, ফলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-১।
তবে ফ্রান্স হাল ছাড়েনি। যতটা দৃষ্টিনন্দন ফুটবল উপহার দিয়েছে স্পেন, ততটাই লড়াকু মনোভাব দেখিয়েছে ফ্রান্সও। ম্যাচে মোট ৪০টি শটের মধ্যে তারা নিয়েছে ২৪টি। ৬৭ মিনিটে যখন স্কোর ৫-১, তখনও কেউ ভাবেনি শেষ দিকে এমন নাটকীয়তা আসবে। রায়ান চেরকির এক দুর্দান্ত গোল, এরপর দানি ভিভিয়ানের আত্মঘাতী গোল এবং কোলো মুয়ানির হেডে ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়িয়ে স্কোর করে ৫-৪। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ হাসি হাসে স্পেনই, এই থ্রিলার ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে এগিয়ে যায় আরেকটি শিরোপার দিকে।