মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ভারি বৃষ্টিপাতে বন্যা পরিস্থিতি ব্যাপক অবনতি হয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে হাকালুকি হাওর এলাকা বেষ্টিত ভূকশিমইল ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি  বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া কুলাউড়া পৌরশহরের কিছু এলাকা এবং ভাটেরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্চিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকার স্থানীয়রা জানান, বন্যায় হাকালুকি হাওর এলাকা ভূকশিমইলের সাথে কুলাউড়া উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এরমধ্যে নেই বিদ্যুৎ। মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধের পথে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা অত্যান্ত নাজুক এবংবিশুদ্ধ পানিয়জলের অভাবে রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

ভূকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, ভূকশিমইলে গত দুইদিন থেকে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। সড়কে পানি ওঠায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাওর এলাকার মানুষ বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন। ভূকশিমইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঘাটের বাজার শেড ঘর ও গৌড়করণ মাদ্রাসায় আশ্রয় নিচ্ছেন বন্যার্তরা। তিনি ভূকশিমইল ইউনিয়নকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানান।

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় ভূকশিমইলের প্লাবিত বাড়িঘর পরিদর্শন করে বন্যার্তদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেছেন ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
ইউএনও জানান, তিনি বর্তমানে (রবিবার) ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বন্যাকবলিত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে জনপ্রতিনিধিসহ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে তিনি কাজ করছেন।

অপরদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ, ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজ, রাবেয়া আদর্শ স্কুলসহ কুলাউড়া পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা, ভাটেরা ইউনিয়ের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে কুলাউড়া পৌরসভায় রাবেয়া আদর্শ হাইস্কুল ও ভাটেরায় রহমানিয়া প্রাইমার স্কুলে আশ্রয়কেন্দ্র খুলা হয়েছে।