:শায়েস্তাগঞ্জে মাজারের পুকুর থেকে মানুষের দেহ বিহীন মস্তক উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৮:৪০,অপরাহ্ন ০৬ জুলাই ২০২২ | সংবাদটি ২৬৫ বার পঠিত
সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পৌর শহরে ঐতিহ্য বাহী দাউদ নগর এলাকায় এবং ছাওয়াল পীর মাজার শরীফ নিকটবর্তী গজার মাছ পুকুরে দেহ বিহীন মাথা উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায় , রবিবার ( ৩ জুলাই) ভোর সকালে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পৌর শহরেঐতিহ্য বাহী দাউদনগর গ্রামে সাহেব বাড়ী এলাকায় ছাওয়ালপীর মাজার শরীফ নিকট বর্তী চুনারুঘাট উপজেলা মুড়ার বন্দ মাজারে শায়িত বন্দেগী শাহ সৈয়দ দাউদ (রহঃ) ও বন্দেগী শাহ সৈয়দ মহিব উল্লা (রহঃ) অলৌকিক ক্ষমতকারী পাঁচশতাধিক বছরের পূর্বের দাউদনগর মাজারের গজার মাছ পুকুরে কে বা কারা দেহ বিহীন মাথা মাথা ভেসে উঠে। মাছের ঘাটে দর্শনার্থী গজার মাছ দেখতে এসে পানিতে দেহবিহীন মাথা দেখতে পেয়ে মাজার খাদেমকে খবর দিলে এ দৃশ্য দেখে থানা পুলিশ, সংবাদিক ও এলাকার জনপ্রতিনিধিকে ফোন দিয়ে অবগত করে। পরে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে এ বিষয়টি ফোনে জানায়। তাৎক্ষনিক হবিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
গোলাম মর্তুজা ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব ঘটনার খবর দিলে হবিগঞ্জ, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা সহকারী পুলিশ সুপার মাফুজা আক্তার শিমুল, ডিবি পুলিশ, পিবিআই ও অন্যা ন্য গোয়েন্দা সদস্যরা পরিদর্শনে আসেন এবং
সিসি ফুটেজ দেখেন। তবে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। মাথা বিভিন্ন স্থানে ধারালো
অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। দেহবিহীন মাথা দেখার জন্য এলাকার শতশত নারী- পুরুষ মাছের পুকুর পাড়ে উপচে পড়া ভিড়। দেহবিহীন মাথা হবিগঞ্জ পৌর এলাকার জঙ্গল বহুলা গ্রামের মৃত মারফত উল্লা ছেলে ট্রাক্টর শ্রমিক কদর আলী (৪৫) মাথা বিহীন লাশ পরিচয় পাওয়া গিয়াছে।
গত শনিবার সকালে হবিগঞ্জের স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই জবাই করা দেহ বডি লাশ জঙ্গল বহুলা খোয়াই নদীর পাড়ে থাকা মাথা বিহীন লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু মাথা খোঁজে বের করতে নদীতে ডুবুরি দিয়ে অনেক খুঁজা খুঁজি করে পায় নি। হবিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা মৃত কদর আলী চাচাতো ভাই ছুরত আলী সহ পরিবারের সকল সদস্যকে খবর দেওয়ার পর সকাল ৯টায় পরিবারের সকল সদস্যরা শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগরে মাছের ঘাট পুকুরে আসে। এসময় মৃত কদর আলী চাচাতো ভাই ছুরত আলী,, মৃত ব্যক্তি স্ত্রী, বোনরা দেখে সনাক্ত করে পরিচয় পায় এবং থানা পুলিশকে অবগত করে।
ওসি গোলাম মর্তুজা জানান, গত শনিবার লাশের মাথা বিহীন দেহ পাওয়া যায় কিন্তু মাথা পাওয়া যায়নি। তবে তারা বিষয়টি রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের ধরতে কাজ করছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব একদল পুলিশ নিয়ে পুকুরের পানি থেকে দেহবিহীন মাথা উওোলন করে মাথার সুরাত হাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয় ।