কানাডায় পাঠানোর নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ৭
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫২:১৮,অপরাহ্ন ৩১ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৩৭ বার পঠিত
ঊষার বাণী ডেস্ক : কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরি ওয়ার্ক পারমিট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজ দেখিয়ে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করত তারা। ইতোমধ্যে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকাও। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় সিলেটভিউকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকরা হলেন- মো. বাপ্পী ইসলাম (৪৩), মো. নিয়াজুল ইসলাম (৫৪), এন এ সাত্তার (৫৮), মো. সাব্বির হাসান (২৪), মো. রাসেল হাওলাদার (২৪), মো. সোহরাব হোসেন সৌরভ (৩৮) ও মো. মোহাইমিনুল ইসলাম (৩৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি জাল/ভুয়া USA আইডিকার্ড, বিভিন্ন লোকের নামে বাংলাদেশী পাসপোর্টের ১ম পাতার ফটোকপি ৪৮ পাতা, বিদেশে কাজ ও হিসাবের খাতা একটি, Singapore Airlines (SQ) ৪৪৭ ও Thai Airwayes LTD এর বিমানের টিকেটের ফটোকপি দু’টি, অত্র মামলার বাদিসহ অন্য দুইজনের NAFA মেডিকেল সেন্টারের মেডিকেল রিপোর্ট তিন পাতা, UK তে জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পত্র দুই পাতা, বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন লোকের নামে বিভিন্ন দেশের টেনিং সার্টিফিকেট ২৫টি, USA Embssy Laborer card পাঁচটি। Laborer card korea২৪টি, Laborer card Canada ১২টি, Laborer card Poland নয়টি, বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রামে USA Embassy, South korea Embassy বিভিন্ন দেশের নামে Emergeny Nootice সাত পাতা, বাংলাদেশ পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল ও ফটো কপি সাতটি (যাহা ভিন্ন ভিন্ন লোকের নামে), কম্পিউটার সিপিইউ দু’টি ও প্রিন্টার দু’টিসহ বিভিন্ন প্রকার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার (২৮ আগস্ট) মো. সোহেল মিয়া (৩৪) নামের এক ব্যক্তি ক্ষিতক্ষেত থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র কানাডায় পাঠানোর কথা বলে চার লাখ টাকা আত্মসাধের তথ্য দেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই খিলক্ষেত থানার একটি মামলা হয়।
পরবর্তীতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে খিলক্ষেত থানাধীন রাজউক ট্রেড সেন্টারের সামনে থেকে মো. বাপ্পী ইসলাম ও মো. নিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে রাতভর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করে।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত বাপ্পী প্রতারক চক্রের প্রধান হিসেবে কাজ করে। নিয়াজুল বিদেশে লোক পাঠানো বিভিন্ন এজেন্সির সামনে অবস্থান করে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে কানাডা, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিবে বলে প্রলোভন দেয়। শুধু তাই নয়, তাদের বস বাপ্পী আমেরিকান এম্বাসিতে চাকরি করে বলেও সবার কাছে প্রচারণা চালানো হয়।
নিয়াজুলের প্রলোভনে অনেকেই রাজি হয়ে যায়। রাজি হওয়ার পর জন প্রতি ১০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয় তারা। এছাড়াও তারা জালিয়াতি করে বিভিন্ন আইডি কার্ড, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, বিভিন্ন দেশের ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ও মেডিকেল রিপোর্টসহ জাল কাগজপত্র তৈরি করে থাকে। এজন্য তারা বিদেশগামীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকাও আদায় করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানান, তাদেরকে আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে। একই সঙ্গে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।