উপাধ্যক্ষ ড.মো.আব্দুস শহীদ এমপি সংসদের প্যানেল স্পিকার নির্বাচিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫২:২৪,অপরাহ্ন ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩১৮ বার পঠিত
রোববার ৮ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৫ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই অধিবেশন শুরু হয়। বিকেলে জাতীয় সংসদের প্রথম কার্য উপদেষ্টার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অধিবেশনের শুরুর আগে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী সংসদের কার্য পরিচালনা জন্য কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সভাপতি মন্ডলীর প্যানেল স্পিকার হিসেবে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি মহোদয় কে নির্বাচিত করা হয়।
রেওয়াজ অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন পরিচালনার জন্য ৫ জন প্যানেল সভাপতি মনোনিত করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এই প্যানেল সভাপতিগণ স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অগ্রবর্তিতা অনুসারে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এ অধিবেশনে প্যানেল সভাপতিরা হলেন- আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ, এনামুল হক, মৃণাল কান্তি দাস, কাজী ফিরোজ রশীদ ও জয়া সেনগুপ্ত।
সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে বিকাল ৪টায় সংসদ ভবনে স্পিকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধিবেশনের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়। প্রতিদিন বিকাল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। তবে স্পিকার চাইলে অধিবেশনের সময় বাড়াতে বা কমাতে পারেন।
স্পিকারের সভাপতিত্বে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বৈঠকে অংশ নেন বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রাশেদ খান মেনন, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া প্রমুখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি রোববার এলাকাবাসীর কাছে মুঠোফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে তাদের কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন। সফলভাবে যাতে এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন এজন্য তিনি জাতীয় সংসদের সদস্যদের কাছেও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এমপির এই মর্যাদা লাভ করায় তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজনও খুশি। তারা মুঠোফোন বা খুদে বার্তা পাঠিয়ে সাংসদকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর এই সম্মান প্রাপ্তিতে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমেও অভিভন্দন জানিয়েছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে সংসদে উত্থাপণের জন্য তিনটি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আগের অধিবেশনে অনিষ্পন্ন ২টি সরকারি বিল পাসের জন্য কমিটিতে পরীক্ষাধীন রয়েছে। এ দিকে বেসরকারি সদস্যদের কাছ থেকে ১টি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া আগে পাওয়া ও অনিষ্পন্ন ১টি বেসরকারি বিল রয়েছে।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৭০টি ও মন্ত্রীদের জন্য ১ হাজার ৫৫৩টিসহ প্রাপ্ত মোট প্রশ্নের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৩টি। সিদ্ধান্ত প্রস্তাব (বিধি ১৩১) ১০৯টি, মুলতবি প্রস্তাবের সংখ্যা (বিধি ৬২) ১৫টি ও মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ (বিধি ৭১) ৬০টি পাওয়া গেছে। এর আগে গত ১১ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় তথা বর্তমান সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন শেষ হয়।