কুলাউড়ায় ইভটিজিং এর প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৮:০৯,অপরাহ্ন ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৭১ বার পঠিত
কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও এলাকায় স্কুলগামী ছাত্রীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় চৌধুরীবাজারের ব্যবসায়ী আকমল হোসেন রুমেলকে ব্রীজের ওপর থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে দুই বখাটে। এছাড়াও কলেজ ছাত্র রাহাত হোসেন রাজকে উপুর্যপরি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুবৃত্তরা। এ ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও মূল আসামীকে পুলিশ আটক না করায় এলাকাবাসী আন্দোলনে নেমেছেন।
আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মূল আসামীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন ‘মিনারমহল ঐক্যপরিষদ’। উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাজী মিরজান আলীর সভাপতিত্বে ও সংগঠক জুবের হাসান জেবলুর পরিচালনায় মানব বন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিয়ান আহমদ, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আলম, সৈয়দ তাহির আলী আজমল, মাহমুদুল ইসলাম দানা, অবসরপ্রাপ্ত র্যাব সদস্য রেজাউল করিম মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক হোসেন মনসুর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সুরমান আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল, কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া আল জেবু, ছাত্রলীগ নেতা রিপন বখশ। মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে কুলাউড়া মুক্ত স্কাউটস গ্রুপ, লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ ও মিনারমহল ঐক্য পরিষদ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের একিদত্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চৌধুরীবাজারের ব্যবসায়ী আকমল হোসেন রুমেল তাঁর দ্বিতীয় শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে সাবিয়া হোসেন কে স্কুল থেকে আনতে গেলে পথিমধ্যে মীরেরগ্রাম ও মুকুন্দপুর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে বাড়––য়া ছড়া ব্রীজের উপর এলাকার চিহিৃত বখাটে বেলাল হোসেন রানা ও জয়নাল আবেদীন রনি ব্রীজের উপরে দাঁড়িয়ে স্কুলগামী ছাত্রীদের উত্যক্ত করছিলো। এসময় তিনি ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটে রানা ও রনি তাকে ব্রীজ থেকে ২৫ ফুট নিচে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ধাওয়া করে বখাটে ইভটিজার জয়নাল আবেদীন রনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও ঘটনার মূল হোতা পাশ্ববর্তী রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের রমজান মিয়ার বখাটে ছেলে বেলাল হোসেন রানাকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে আহত আকমল হোসেন রুমেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনায় গুরুতর আহত রুমেলের ভাই ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন বলেন, “পুলিশ এখনো বখাটে মূল আসামী বেলাল হোসেন রানাকে গ্রেফতার করেনি। আমরা ইভটিজার রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়ারদৌস হাসান সাংবাদিকদের জানান, “এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।”