বাংলাদেশ মুসিলিম লীগের সাবেক সভাপতি ‘এ.এন.এম ইউসুফ’ এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩১:০৯,অপরাহ্ন ২৩ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৫২০ বার পঠিত
ঊষারবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশ মুসলিমলীগের সাবেক সভাপতি ,আজীবন পশ্চিমা মতাদর্শের অনুসারী ও সাবেক এমপি বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্টানের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা আলহাজ্ব এ,এন,এম ইউসুফ এর ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে ২২অক্টোবর মঙ্গলবার। কুলাউড়া উপজেলায় মরহুমের নিজ এলাকা ব্রাহ্মনবাজারের নবীনগরে প্রতিষ্ঠিত এম এ গণী শিশু সদন এবং জুনিয়র স্কুল প্রাঙ্গনে মরহুমের পারিবারিক আয়োজনে স্বরনসভা, ফাতেহা পাঠ,কোরআন খতম,পুস্পস্তবক অর্পন,দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরনের মাধ্যমে মৃত্যু বার্ষিকী কর্মসুচি পালন করা হয়।
কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা মোঃ খুরশীদ উল্ল্যা মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও আবুল হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া সরকারী ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম শাহ জালাল, বর্তমান উপাধ্যক্ষ ও বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল,সহ-সভাপতি রেদওয়ান খাঁন ও মোঃ রফিক আহমদ, যুগ্ম-সম্পাদক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রিন্স ও আব্দুস সালাম,সহ-সাংগঠনিক দেলোয়ার হোসেন,পৌর বিএনপি সম্পাদক মুজিবুল আলম সুহেল,কুলাউড়া উপজেলা জামায়াত নেতা রাজানুর রহিম ইফতেখার, উপজেলা বিএনপি নেতা শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম খান বাচ্চু, ব্রাহ্মণবাজার ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন, এম.এ.গণি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক আব্দুন নুর, এম এ গণি আর্দশ কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রভাষক শাহ আলম সরকার, এছাড়াও রাজনীতিবিদ,স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষিকাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
সভায় পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউসুফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মরহুমের স্ত্রী আলহাজ লুৎফুন্নাহার ও জৈষ্ঠ পুত্র এএন এম খালেদ লাকী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের যুগ্ম-আহবায়ক মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি এড.এএনএম আবেদ রাজাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, মরহুম এ.এন.ইউছুফ জীবনের শেষ মুহুর্তে এলাকাবাসীর অর্থায়নে ও সহযোগিতায় নিজ গ্রাম নবীনগরে ইউছুফ-গণি আদর্শ কলেজ নামে নিজ নামে একটিন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করলে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলাতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এমপির একক বদান্যতায় প্রতিষ্টানটি ১৯৯৮ সালে এমপিও ভুক্ত হয় ও সরকারী ভবন প্রাপ্ত হয়। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রতিষ্ঠানের নাম‘ ইউছুফ-গণি আদর্শ কলেজ’পরিবর্তন করে ‘এম.এ.গণি কলেজ’ করতে হয়েছে। তাছাড়াও সরকারী অনুদান প্রাপ্ত এ প্রতিষ্টানটি প্রতিষ্টাতার পরিবারের একক নিয়ন্ত্রণে থাকায়, প্রতিষ্ঠাতার পরিবার পরিজণের সকলেই বিএনপি, মুসলিলীগ ও জামায়াত সক্রিয় এবং পারিবারিক নিয়নত্রনে কলেজের গভর্ণিং বডি তৈরী করে এলাকায় নানা বিতর্কিত ভূমিকার কারণে এলাকায় প্রতিষ্টানটি বিষয়ে অসন্তুষ্টি বিরাজমান এবং কচ্ছপ গতিতে প্রতিষ্টানটি কালের স্বাক্ষীর মতো কোন রকমে টিকে আছে।