শিগিগরই কাটছে না পেঁয়াজসংকট
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০৮:১১,অপরাহ্ন ২৮ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩১৫ বার পঠিত

উল্লেখ্য, বন্যার কারণে ভারতের মহারাষ্ট্রসহ কয়েকটি জায়গায় পেঁয়াজের উত্পাদন কম হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দর ঊর্ধ্বমুখী। ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এক লাফে ১২০ টাকায় পৌঁছে যায়।
সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে আমাদের এবারে শিক্ষা হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমাদের পেঁয়াজের উত্পাদনটা বাড়াতে হবে, যাতে বাইরের ওপর নির্ভর করতে না হয়। আশা করছি, পরবর্তী বছরে এ সমস্যাটা আর হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মজুতদারদের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের নিয়ে যে জেলখানায় ভরব, এমন কিন্তু নয়। তাদের প্রো-অ্যাক্টিভ করতে চাই, বোঝাতে চাই। এতে কিছু কাজ হয়েছে বলে তিনি জানান। চট্টগ্রামে টিসিবির উদ্যোগে ১০টি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে জানান তিনি।
শ্যামবাজারে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
গতকাল রাজধানীর সবচেয়ে বড়ো পেঁয়াজের মোকাম শ্যামবাজারে অভিযান চালিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে পেঁয়াজের মূল্য তালিকা যথাযথ ভাবে প্রদর্শন না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পিঁয়াজ বিক্রির অপরাধে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে মেসার্স আলী ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স পবিত্র ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা এবং গাজি এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর খুচরাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১১৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; কিন্তু গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।