উল্লেখ্য কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত দক্ষিণ লংলার একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালে তৎকালীন সাংসদ ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কলেজেটির উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিবছর কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কুলাউড়া উপজেলার মধ্যে ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করে আসছে এবং ২০১৬ ও ২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করে শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বি.এস.এস (পাস) ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বি.এ. (পাস) কোর্সে অধিভূক্ত হয়। তাছাড়া ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনটি বিষয়ে (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা) অনার্স কোর্স চালুর অনুমতি ও অধিভূক্তি লাভ করে। কলেজটির বর্তমানে ১৭৪৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নত রয়েছেন। সরকার ঘোষিত অনলাইন আবেদন নির্ধারিত তারিখের মধ্যে যথাযথ সম্পন্ন করেও মৌলভীবাজার-২ আসনের প্রাক্তণ সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন ও বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য সুলতান মনসুর আহমদ কর্তৃক প্রদত্ত অগ্রাধিকার তালিকায় কলেজটির নাম প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি গত ২৩/১০/২০১৯ তারিখের ঘোষিত এমপিও তালিকায় কলেজটি এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়ে। যা কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গভর্ণিংবডি ও কুলাউড়া আপামর জনগণের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার মান, পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং প্রতি বছর উপজেলা তথা জেলা পর্যায়ে প্রশংসনীয় ফলাফল থাকা সত্ত্বেও কলেজটির ডিগ্রি পর্যায় এমপিওভূক্ত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমানে কলেজের স্নাতক (পাস) ও অনার্স পর্যায়ে বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদিসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা কলেজটির পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই কলেজেরটির ডিগ্রি (পাস) পর্যায় এমপিওভূক্তির পুনঃবিবেচনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।