পেঁয়াজের সংকট কাটছে না
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২০:০৫,অপরাহ্ন ০৩ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৪৬ বার পঠিত
ঊষারবাণী ডেস্ক : এক মাস আগে ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর দেশে পেঁয়াজ সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। খুব সহসা যে এই সংকট কাটবে তারও কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। ভারত থেকে সহজলভ্য পেঁয়াজ আমদানির আশা বাদ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বিকল্প দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মিয়ানমার, মিশর, চীন ও তুরস্ককে। এই দেশগুলোর বড়ো চালানগুলো এখন দেশে পৌঁছানোর অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন।
এ দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গতকাল পিঁয়াজ হালিতে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইত্তেফাক সংবাদদাতা। প্রতি হালি ১৬ টাকা। নিম্নআয়ের মানুষ হালি হিসেবে পিঁয়াজ কিনছেন। আর ওজনে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। দেশের সব জায়গায় পেঁয়াজের বাজারে কমবেশি এই দশা চলছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, গত ২৮ অক্টোবর ভারতের কর্নাটকে ‘গোলাপী পেঁয়াজ’ রপ্তানির শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হলেও তা বাংলাদেশের আমদানিকারকদের জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনছে না। চেন্নাই সমুদ্র পথে আনতে হবে এই পেঁয়াজ এবং প্রতি চালানে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টন আনা যাবে। যা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জন্য লাভজনক নয়। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, এই সুবিধা বাংলাদেশের জন্য নয়, অন্য দেশের জন্য দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে টেকনাফে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড়ো ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসছেন। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো না হওয়ায় বাজারে চাহিদা কম। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা হাবিবুর রহমান ইত্তেফাককে জানান, মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি বাড়ার পরও বাজারে দাম না কমায় ব্যবসায়ীরা মিশর, চীন ও তুরস্ক থেকে বড়ো চালান কখন বন্দরে পৌঁছাবে, সেই অপেক্ষায় আছেন। প্রতিদিন পাইকারি ব্যবসায়ীরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ তুরস্ক থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। সিটি গ্রুপ, বিএসএম গ্রুপসহ কয়েকটি বড়ো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। পেঁয়াজের এসব বড়ো চালান নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে এসে পৌঁছানোর কথা।
বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন জানান, সরকার পেঁয়াজের মূল্য আয়ত্বের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করছে। মেঘনা ও সিটি গ্রুপের আমদানি করা পেঁয়াজ দুই-চার দিনের মধ্যেই দেশে পৌঁছাবে। চলতি নভেম্বরের মাঝামাঝিতে বাজারে উঠতে শুরু করবে দেশি পেঁয়াজ। ফলে পেঁয়াজের সংকট আর থাকবে না বলে আশা করছি।
হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক অনিল ঠাকুর জানান, ভারত সরকার কর্নাটকের গোলাপী পেঁয়াজ রপ্তানির যে অনুমতি দিয়েছে তা স্থলপথে আনা যাবে না। আমরা জানতে পেরেছি এই ৯ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশের জন্য নয়, অন্য দেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি এখনো বহাল রয়েছে।