কুলাউড়া আ.লীগের কাউন্সিল ; বাবু অরবিন্দু ঘোষ সভাপতি হিসেবে মূল্যায়ন পাবেন বলে আশাবাদী
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৮:৫৫,অপরাহ্ন ০৭ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৮১১ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক : কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের স্বপ্নের সম্মেলন ও কাউন্সিল যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ই নভেস্বর অনুষ্টিত হবে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের কাঙ্কিত কাউন্সিল। আর এজন্য দলীয় নেতা কর্মীদের পদ-পদবী প্রাপ্তির প্রত্যাশায় শুরু হয়েছে ব্যাপক দৌড়ঝাপ। উপজেলা থেকে জেলা, জেলা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত চলছে পদ প্রত্যাশিদের নিরন্তর লবিং কার্যক্রম। কুলাউড়ার কাউন্সিলকে ঘিরে শত পদ প্রত্যাশিদের মাঝে ক্লিন ইমেজের অধিকারীদের অন্যতম এক নেতা অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু। যিনি বিগত ২০০৪সাল হতে সহ-সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত নিষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে দলীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এবারের কাউন্সিলে তিনি সভাপতি পদপ্রত্যাশি।
বাবু অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু কুলাউড়া উপজেলার পুষাইনগর,গৌরিশংকর এলাকায় ১৯৫৫ সালের ১০ মে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা স্বর্গীয় হরকুমার ঘোষ ও মাতা স্বর্গীয়া বিনা রাণী ঘোষ।
১৯৭১সালে দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করার মহান ব্রত নিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। দেশ স্বাধীনের পূর্ব হতে পরবর্তী সময়ে কুলাউড়ায় যে কজন নেতা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম একজন। ১৯৭৮সাল হতে ২০০৪সাল পর্যন্ত দীর্ঘ তিন যুগ ধরে তিনি জয়চন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জন্মলগ্ন হতে তিনি সুদীর্ঘ সময় ধরে কুুলাউড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কুলাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত।
তিনি ১৯৮৩সালে জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হন এবং ১৯৮২ সালে তিনি কুলাউড়া বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯সাল হতে পরপর ৩বার তিনি কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও প্রতিবার নিজদলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
বাবু অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু ২০১৭ সালে রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি স্মৃতি পদকে ভূষিত হোন।
বাবু অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে এবং দেশমাতৃকাকে রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান ম্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করার অপরাধে ১৯৭১সালে পাক হানাদার বাহিনীর হামলা করে আমার পরিবারে ১৪জন সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করে, সহায় সম্পদ সহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায় এবং বাড়ী ঘর জালিয়ে পুড়িয়ে সবকিছু তছনছ করে দেয়। তবুও তো দেশকে স্বাধীন করেতে পেনেছি এবং নিজকে স্বাধীন রাষ্ট্রের গর্বিত নাগরিক বলে পরিচয় দিতে পারি এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শান্তনা। সবকিছু হারিয়ে আজো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে আজো আওয়ামিলীগকে জীবন দিয়ে ভালবাসি। আমার বিশ্বাস, শেষ বয়সে উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি হিসেবে দলের নেতৃবৃন্দ ও সকল স্তরের কর্মীদের আকুন্ঠ ভালবাসার কারণে দল আমাকে সর্বশেষ মূল্যায়ন করবে এবং উপজেলা আওয়ামিলীগে আামাকেই সভাপতি পদে মনোনীত করবে।