কুলাউড়ায় ১৫ বছর পর আ.লীগের সম্মেলন চলছে; সভাপতি ও সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা চরম উৎকন্ঠায়
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৭:৫৮,অপরাহ্ন ১০ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪২৩ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক : ১৫ বছর পর আজ ১০ নভেম্বর শুরু হয়েছেকুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে সফলে কুলাউড়া শহর আজ মিছিলের নগরীতে পরিনত হয়েছে। আলোচিত দুটি বলয়ের পক্ষে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার নেতা কর্মী। তবে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান শফি আহমদ সলমানের পক্ষের তৃণমূল নেতা কর্মীদের বেশী উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
দীর্ঘদিন পর চলমান সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে দ্বিধা বিভক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের তরুণ নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন। তবে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে দলে ত্যাগী নেতাদের সবাইকে নিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হবে এমন আশা করছেন দলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা।
কারা আসছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে-তা নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মী সহ সাধারণ জনতা। সমঝোতা না ভোটে নেতা নির্বাচিত করা হবে এ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। অনেকে আলোচনার মাধ্যমে কমিটির পক্ষে মত দিলেও কেউ কেউ কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে কমিটি হওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন। আবার অনেকে সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্বে আসার জন্যও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ বিগত ২০০৪ সালে ১২ ডিসেম্বর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিনকে সভাপতি ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কুলাউড়া উপজেলা কমিটিতে ৭১ সদস্যের কমিটি থাকলেও বিগত ১৫ বছরে ১৪ জন নেতা মৃত্যুবরণ করায় বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগে ৫৩ জন নেতা জীবিত আছেন। এর মধ্যে অনেকে দিন ধরে প্রবাসে বসবাস করায় এবং অনেকেই বার্ধক্যজনিক ও অসুস্থতার কারণে দলের কর্মকান্ড থেকে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন বলে দলের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে প্রত্যাশী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুক সহ লোকমুখে আলোচনায় আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য পৌর মেয়র সফি আলম ইউনুছ,বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, নবাব আলী ওয়াজেদ খান বাবু, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা মোস্তফা আব্দুল মালিক, সিলেট বিএমএর সভাপতি ডাঃরুকন উদ্দিন।
এছাড়া সাধারন সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা হচ্ছে তারা হলেন-উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,কুলাউড়া কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মোক্তাদির তোফায়েল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুলাউড়া কলেজের সাবেক এজিএস মনসুর আহমদ চৌধুরী ও ফজলুল হক ফজলু, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান যুব বিষষক সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও সহ দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক সফিউল আলম সফি, যুক্তরাজ্য আ. লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কামাল হাসান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর ও জেলা শ্রমীকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিপার উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
দ্বিধাবিভক্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে কারা সভাপতি ও সম্পাদক হচ্ছেন এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় যেসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে, সবক’টি উপজেলায় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত নাম নির্ধারিত হয়ে এসেছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন সিলেটে দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমপি নেছার আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জেলা পরিষদ সদস্য,কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাউদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও অধ্যাপক রফিকুর রহমান,জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি এমপি আব্দুস শহীদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাউর রহমান।