করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ছোটবড় সকল ধরনের ব্যবসায়ে বিরাট প্রভাব পড়েছে, আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরতো রিতিমতো মাথায় হাত। আতঙ্কে গ্রাহকশুন্য অবস্থায় রয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাতেও নিষ্টুরতায় বরফ গলেনি ঋণ প্রদানকারী বেসরকারি এনজিও সংস্থাগুলির। সপ্তাহান্তে কিস্তি তাদের দিতেই হবে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কুলাউড়া উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্টানের মালিকরা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার নিকট থেকে কিস্তি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। গত এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত তারা কিস্তি পরিশোধ করে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।
রোববার (২২ মার্চ) থেকে রাত ৮ টা থেকে ঔষধের দোকান ব্যতিত সব ধরণের ব্যবসায় প্রতিষ্টান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ও ব্যবসায় চলা সবচেয়ে মন্দা সময়ে কুলাউড়া উপজেলায় এনজিও সংস্থায় কর্মরতরা ওইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন। এমতাবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্টানের মালিকরা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ছাড় পাচ্ছেন না।
কুলাউড়ার স্টেশন চৌমুহনীর পানের দোকানদার মো. শরীফ, ফলের দোকানদার চান্দু মিয়া, কাপড়ের দোকানদার রবিউল হোসেন, পানের দোকানদার সুফিয়ান মিয়া, সিরামিক ব্যবসায়ী ফুল মিয়া, ইসমাইল, মোবাইলের সরঞ্জাম ব্যবসায়ী অনিক, রাজু, দৌলতসহ একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষের এখন কাজ নেই। মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা না থাকায় পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা যাচ্ছে না। আমরা টাকা দিবো কোথা থেকে। এনজিওরা কিস্তি আদায় করতে এসে দোকানের দরজায় দাড়িয়ে থাকে। আপাতত বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণের বিপরীতে কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
তবে এসব কোন অযুহাত মানতে রাজি হচ্ছেন না এনজিও মাঠকর্মীরা। এরমধ্যে ব্র্যাক, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীনশক্তি, হীড বাংলাদেশসহ এনজিওগুলো তাদের ঋণ আদায়ে গ্রাহকদের চাপদেয়া অব্যাহত রেখেছে।
একজন মাঠকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমাদের এনজিও অফিস থেকে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাজ টাকা আদায় করা, আমরা সেটা করছি। নির্দেশনা আসলে বন্ধ করে দেবো। তবে এবিষিয়ে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের কুলাউড়া শাখার ঋণ কর্মকর্তা সুজিত পাল জানান, আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতার প্রতি আমাদের সহযোগিতা থাকবে।