মাত্র দু’দিনে ২০০০ দুঃস্থ ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে ত্রাণ দিল কুলাউড়া পৌরসভা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৯:২৪,অপরাহ্ন ০৭ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৪৬৪ বার পঠিত
ঊষারবাণী নিউজডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ শফিআলম ইউনুছ পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ২য় দিনের মতো কুলাউড়া পৌর এলাকায় ত্রান বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। আজ পৌর এলাকার ৮,৩,ও ৫নংওয়ার্ডে মোট ১০০০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন মেয়র। বৈশ্যিক দূর্যোগ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কুলাউড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র, অসহায় ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগোষ্টির মাঝে ২০ লক্ষ টাকার ত্রান সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন পৌর মেয়র। তাঁর এ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ৭এপ্রিল কুলাউড়া পৌরসভার ৮নং, ৩নং ও ৫নং ওয়ার্ডের মোট ১০০০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন পৌরমেয়র। খাদ্য সহায়তার প্রতিটি পরিবারকে চাউল, আলু, ডাল,পিয়াজ,তৈল, লবন ও সাবান সহ এক সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। আগের দিন সোমবার ৬এপ্রিল কুলাউড়া পৌরসভার ১নং, ৪নং ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৮০০ পরিবারের মাঝে অনুরুপ ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ শফি আলম ইউনুছ, প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদীন বাচ্চু,প্রকৌশলী কামরুল হাসান, সচিব শরদীন্দু রায়,কাউন্সিলর ইকবাল আহমদ শামীম,মঞ্জুর আলম চৌধুরী খোকন,লোকমান আলী, কায়সার আরিফ, রাসেল আহমদ চৌধুরী, হারুন মিয়া ও শাওন আহমদ প্রমুখ।
কুলাউড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা ও কুলাউড়া পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, মেয়র আলহাজ শফিআলম ইউনুছের সততাপূর্ণ বলিষ্ট নেতৃতে পৌরসভা স্মরণকালের সর্বোচ্চ উন্নয়ন করে একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়েছে। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। পৌরসভাকে জীবানুমুক্ত করতে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো অব্যাহ রেখেছেন। পৌরসভার দুঃস্থ, অসহায় ও মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে ত্রান পৌছে দিচ্ছেন। পৌরবাসীর এই দূঃসময়ে মানুষের পাশে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেজন্য মেয়র মহোদয় ও কাউন্সিলবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি পৌরসভার এতো ভালো কাজও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের চোখে পড়ছেনা, তাই এরা পত্রিকোয় মিথ্যাচারমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের প্রতি ঘৃনা প্রকাশেরও ভাষা নেই। আল্লাহ যেন তাদের হেদায়াত করেন।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুলেমান আলী জানান, এই কঠিন দূর্যোগে মেয়র ও কাউন্সলরদের ভূমিকায় পৌরবাসী অনেক বেশী সন্তুষ্ট। অতীতে কখনোই মহামারী দূর্যোগে এভাবে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ এত সহযোগিতা পায়নি যা বর্তমান মেয়রের মেয়াদে পাচ্ছে।
পৌরসভার কাউন্সিলর লোকামান আলী বলেন, আমাদের মেয়র মহোদয় গরীবের বিপদে সবসময়ই আন্তরিক। আজ আমার ওয়ার্ডে প্রায় ৩০০ প্যাকেট ত্রান দিয়েছেন আমি নিজস্ব উদ্যোগে আরো ২৫০ প্যাকেট ত্রান মিলিয়ে মোট ৫৫০ পরিবারকে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদেরএ সহায়তা চলমান থাকবে। আর পৌরসভায় ত্রানের কোন সংকট নেই , কেউ যদি বলে পৌরসভায় ত্রান দেয়া হচ্ছেনা তা সম্পূর্ণই মিথ্যা। সবাই ত্রান পাচ্ছে।
কুলাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদীন বাচ্চু বলেন, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ শফি আলম ইউনুছের নেতৃত্বে ও পৌর কাউন্সিলরদের সার্বিক সহযোগিতায় পৌরসভার অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে ২৫০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ২য় দিনের মতো প্রদান করা হচ্ছে। পৌরসভার মেয়রের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকার ত্রান সহায়তা পৌরসভা হতে এবং আরও ১০লক্ষ টাকার সহায়তা মেয়র ব্যক্তিগত ভাবে প্রদান করছেন। পৌরভার সচিব, ইঞ্জিনিয়ার ও সকল কাউন্সিলরবৃন্দ চরম ঝুঁকি নিয়ে এই দূর্যোগে পৌরবাসীর খেদমতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিন ধাপে প্রাপ্ত সরকারী বরাদ্দও ২১০টি পরিবারকে প্রদান করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালে ‘৩দফা অনুদান আসলেও কুলাউড়া পৌর এলাকায় হাহাকার’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশ বিষয়ে প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদীন বাচ্চু বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ইতিপূর্বেও নিজেদের অশুভ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পৌরসভার বিভিন্ন বিষয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডামূলক নিউজ ছেপেছে। ভয়াবহ করোনা দূর্যোগে দেশের সরকার, বিরোধীদল সহ সকলে যখন এক কাতারে যুদ্ধ করছে, সেসময় ঐ ধান্ধাবাজরা অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। নিউজে পৌরসভার পুরাতন ফটকের ছবিও দিয়েছে যার কোন অস্থিত্ব বর্তমানে নেই। আমি ঐ সব মতলববাজ, ধান্ধাবাজ ও দূষ্কৃতিকারীদের অপকমের্র তিব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানাই।