নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারনে গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক শেষে মৌলভীবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন। লকডাউন ঘোষনার পরপরই ফাঁকা হয়ে যায় মৌলভীবাজার শহর এবং শহরের সংযোগস্থলের প্রধান প্রধান সড়কসহ আশপাশের জনবহুল এলাকা। লকডাউন চলাকালে প্রথম ৩-৪দিন সাভাবিক থাকলেও ধীরে ধীরে লকডাউন অমান্য করে শহরমূখী মানুষের আনাগুনা বাড়তে শুরু করে। এমন অবস্থায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও সামাজিত দূরত্ব নিশ্চিতে প্রতিদিন শহরে র্যাব,পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করে মানুষকে ঘরে ফেরাতে জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,শহরের পশ্চিমবাজার ও কুদরত উল্লাহ সড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে অসাভাবিক ভাবে লকডাউন কিংবা সামাজিক দূরত্ব অমান্য করে বাজারমূখী সাধারণ মানুষের স্রোত বাড়ছেই।
এমন পরিস্থিতিতে শহরের এই দুটি সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও রমজান উপলক্ষে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করে সীমিত আকারে পণ্য ক্রয় করার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্বোদ্ধ করতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন চন্দ্র দাস হ্যান্ড মাইকে ব্যাপক প্রচারণা চালান। প্রচরণায় র্যাব-৯ এর এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম এর নেতৃত্বে র্যাব-৯ ও সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আহসান আহমেদ এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীসহ যৌথ প্রচারণা চালান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ও কাউন্সিলর আয়াছ আহমেদসহ গণমাধ্যমকর্মীরাও।