জুড়ী সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল চা-বাগানের দক্ষিণ সাগরনাল এলাকায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের সংগৃহীত নমুনার চুড়ান্ত ফলাফল আসার অপেক্ষায় স্থানীয়রা। এর আগেই এলাকার পার্শ্ববর্তী ১৭টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার (২০শে এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী ১৭টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রবিবার (১৯শে এপ্রিল) দিবাগত রাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান ওই যুবক (২০)। তিনি কুলাউড়ায় একটি গরুর খামারে চাকরি করতেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
উপজেলায় এই প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলেন। এ মৃত্যুর সংবাদে চা-বাগানসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে অন্যদিনের চেয়ে লোক চলাচল কমে গেছে বলে জানা গেছে।
যুবক মারা যাওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) প্রিয়জ্যোতি ঘোষের নেতৃত্বে তদন্ত দল যুবকের নমুনা সংগ্রহ করেন। আরএমও জানান, এটা করোনা আক্রান্তের মৃত্যু নাও হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। পরিবারের কারও মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই। তবে চুড়ান্ত ফলাফল না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) সমরজিৎ সিংহ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ওই ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন রোগসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ ছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল এলে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা পরিষ্কারভাবে জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অসীম চন্দ্র বণিক জানান, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ওই এলাকার ১৭টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মৃত ব্যক্তির নমুনার চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত বাগানের কেউ বাইরে যেতে পারবে না আর বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং কাজেও যোগ দিতে পারবে না।