জুড়ীতে ত্রাণ প্রত্যাশী ১২ হাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৫:১২,অপরাহ্ন ২৩ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ২৮১ বার পঠিত
জুড়ী প্রতিনিধি : চলমান করোনা সংকটে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ত্রাণ প্রত্যাশী রয়েছেন ১২ হাজার। তাই দেশের দুর্যোগময় মুহূর্তে সরকারের পাশাপাশি যারা ব্যক্তি উদ্যোগে অথবা সামাজিক বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে ত্রাণ দিবেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার করা তালিকা দেখে সমন্বয় করে ত্রাণ দিলে সকলে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জুড়ী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো ওমর ফারুক।
পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা দুর্যোগের কারণে কর্মহীন, শ্রমজীবী, গাড়ি চালক, দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তালিকা করার নির্দেশ দেয় সরকার। সে মোতাবেক জুড়ীর ৬ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মোট ১১ হাজার ৫২৩ জন ত্রাণ প্রত্যাশীর তালিকা জমা দেন।
তালিকায় জায়ফর নগর ইউনিয়নের ত্রাণ প্রত্যাশীর সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৯ জন, পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে ১ হাজার ২০০ জন, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে ১ হাজার ২৬৮ জন, ফুলতলা ইউনিয়নে ২ হাজার ৯৩৪ জন, সাগরনাল ইউনিয়নে ১ হাজার ৭১৬ জন এবং গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে ১ হাজার ৪২৬ জন। ইতোমধ্যে প্রাপ্ত বরাদ্ধ থেকে ৪৬ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। যা দিয়ে ৪৬০০ পরিবারের মানুষ এ সুবিধা পেয়েছেন।
জুড়ী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো ওমর ফারুক বলেন, এ তালিকা আরও বাড়তে পারের বলে জানা গেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে যারা মানুষকে সহযোগিতা করছেন এই তালিকা দেখে বিতরণ করলে সবাই পাবে, অন্যথায় দেখা যায় এক জন ৫ থেকে ৬বার খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন আবার অনেকে একবার ও পাচ্ছে না। সরকারের দেওয়া বরাদ্ধ সীমিত হয়ে আসে তাই তালিকার সবাইকে একসাথে দেওয়া সম্ভব হয় না। পর্যায়ক্রমে তালিকার সবাই পাবে।
সাগরনাল ইউনিয়নের বাসিন্দা বশির আহমদ আক্ষেপ করে বলেন,আমি দিনমজুর মানুষ আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য অথচ আমাকে কেজি চালও দেওয়া হয়নি। আমি অনেক কষ্টে পরিবার নিয়ে আছি অথচ এই ইউনিয়নের অনেক আছেন যারা ৩ থেকে ৪ বার ত্রাণ পেয়েছেন।
জায়ফর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা বলেন, আমার ইউনিয়ন উপজেলার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার ইউনিয়ন। আমি সবার তালিকা ও জমা দিয়েছি। আশা করি কেউ বাদ পড়েনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো ওমর ফারুক বলেন, আমার কাছে অনেক বড় তালিকা জমা পড়েছে। সরকারের দেওয়া বরাদ্ধে তালিকা অনুযায়ী পাবে। তালিকা থেকে কেউ বাদ পড়লে যোগ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক জানান, যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ সরকারের বরাদ্ধ আছে। তালিকা অনুযায়ী সবাই পাবে পর্যায়ক্রমে। যারা একবারেই খেতে পাড়ছেন না আমাকে ফোন দিয়ে অথবা কারও মাধ্যমে খবর পৌঁছালে আমি তাদের বাড়ি নিয়ে খাবার দিব। এরকম অনেককে দিচ্ছি।