রাজনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৬:২৭,অপরাহ্ন ০৮ মে ২০২০ | সংবাদটি ৩১৬ বার পঠিত
রাজনগর প্রতিনিধি : মৌলভীবাজরের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন এই পরিষদের ৬ জন সদস্য। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন পরিষদের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৭ মে) জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর দিয়েছেন ইউপি সদস্য ভারতী রানি দাস, লিলি বেগম, এমদাদুল হক টিটু, রফিক উদ্দিন, মো. শুকুর আলী, মো. কমর উদ্দিন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্যরা ও চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রত্যেক অর্থ বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স, উত্তরাধিকার সনদ ফি, জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ কি পরিমান অর্থ আদায় করা হয়েছে এবং কোন কোন খাতে এসব অর্থ ব্যায় করেছেন তা সদস্যদের কখনই অবগত করেন নি চেয়ারম্যান। এছাড়া ওয়ার্ড সদস্যদের পাশ কাটিয়ে ইউনিয়নের যে কোন বরাদ্ধ, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম করেন তিনি। চলমান করোনা ভাইরাস মহামারিতে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় এই ইউনিয়নে চারবারে ৬৯৩ জনের জন্য বরাদ্দ দিলেও মহিলা সদস্যরা মাত্র একবারই ১২টি করে নাম দিতে পেরেছেন। এছাড়া পরিষদের ৪, ৫, ৭, ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্যরা চার ধাপের বরাদ্দে মোট ২৭-৩৩টি করে নাম দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে সম্প্রতি ৩৯ টি শিশু খাদ্য এলেও এসব শিশু খাদ্য কাদেরকে কিভাবে বিতরণ করা হয়েছে তাও এই ইউপি সদস্যদের জানানো হয়নি। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের জন্য সার, বীজ দেয়া হলেও এসব বিতরণেও এই ইউপি সদস্যদের অবহিত করা হচ্ছে না বলে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দেওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন- ভারতী রানি দাস, লিলি বেগম, এমদাদুল হক টিটু, রফিক উদ্দিন, মো. শুকুর আলী, মো. কমর উদ্দিন। ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য ভারতী রানী দাস বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছে মতো ত্রাণ বিতরণ করছেন। সম্প্রতি রেশন কার্ডের জন্য সব সদস্যদের নাম দিতে বলা হলেও আমাকে বলা হয়নি। ইউনিয়নের কতজনকে রেশন কার্ডের আওতায় আনা হচ্ছে তাও আমাদের জানানো হচ্ছে না। কৃষকদের সার ও বীজ দেয়ার জন্য আমাকে তালিকা দেয়ার কথা বলা হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে সবকিছু জানানো সম্ভব নয়। পরিষদের সভায় জানানো হবে। কাদেরকে কি দেওয়া হয়েছে তার তালিকা আমার কাছে আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, আমি অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসক কাছে লিখিত দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।