শ্বাসকষ্ট বেড়েছে ডা. জাফরুল্লাহর, জ্বর নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১৯:০৩,অপরাহ্ন ০৮ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৩০৪ বার পঠিত
ঊষারবাণী ডেস্ক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শ্বাসকষ্ট কিছুটা বাড়লেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাকে নিয়মিত অক্সিজেন নিতে হচ্ছে। শরীরে জ্বর নেই। গত ৪ দিন ধরে তার এই শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও জিআর কভিড-১৯ র্যা পিড ডট ব্লট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল বাট স্ট্যাবল’।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ জানান, গত রাতেও জাফরুল্লাহর অবস্থার অবনতি হয়নি। ওই রকমই ছিল। তবে রক্তচাপ ও শারীরিক অন্যান্য অবস্থা বিবেচনায় তার অবস্থা স্থিতিশীল। তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলছে। গতকালের মত আজকেও নাস্তা, ওষুধ খেয়েছেন।
জানা গেছে, আগে সপ্তাহে তিনদিন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কিডনি ডায়ালাইসিস করা লাগতো। তবে এখন শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন তাকে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। ২৫ মে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে তাকে দু’বার প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে।
আজ তার আরেকবার করোনা টেস্ট করার কথা রয়েছে।
গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি, অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন ডা. জাফরুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। ডা. জাফরুল্লাহ ছাড়াও তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত। তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই ভাইরাস শনাক্তরণে কিট উদ্ভাবনে নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তা উদ্ভাবনও করেছে। এ কিট উদ্ভাবন প্রক্রিয়া মিডিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের সমন্বয় করে আসছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
উদ্ভাবিত এ কিটের সক্ষমতা যাচাই চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। এ পরীক্ষায় সফলতা পেলে চূড়ান্ত র্যা পট ডট ব্লট কিট ব্যবহারের অনুমোদন দেবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।