কমলগঞ্জে এতিম শিশুদের মাঝে পুলিশের গাভী বিতরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৭:৫৬,অপরাহ্ন ০৯ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ৩২৮ বার পঠিত
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক অসহায় এতিম শিশুদেরকে পুলিশ পরিদর্শকের পক্ষ থেকে গাভী বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর ফেইসবুকে সহায়তা চেয়ে এই পোস্ট করেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ। বুধবার রাতে থানায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি দুধের গাভী ও বাচ্চাসহ কাপড়, খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় এতিম শিশুদের হাতে।
জানা যায়, আলীনগর চা বাগানে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট ইছহাক মিয়া (৪০)-র হাতে খুন হন নারী চা শ্রমিক দিপালী নায়েক। দিপালী নায়েক এর অসহায় ৩ শিশু সন্তানের জন্য এই সহায়তা চাওয়া হয়। এর কয়েক বছর আগে দিপালী নায়েকের স্বামী সরতু লায়েক অসুস্থ্য অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। পিতা-মাতাহীন এতিম ২টি মেয়ে ও ১টি ছেলে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক সুধীন চন্দ্র দাশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এতিম শিশুদের কথা তুলে ধরলে তাদের সাহায্য করার কথা ব্যক্ত করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশের কাছে কিছু অর্থ আসে তারই কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে। এ অর্থের সাথে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশফাকুজ্জামান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানসহ আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় এ শিশুদের জন্য একটি দুধের গাভী ক্রয় করে সাথে শিশুদের জন্য কিছু জামা কাপড় ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশফাকুজ্জামান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও চা বাগান ওয়ার্ডের সদস্য গৌরী রানী কৈরী।
পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর শিশুরা চরম অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে। তাদের কথা ভেবেই ফেইসবুকে মানবিক স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সারা দেশে পুলিশ সদস্যরা এ ধরণের অনেক মানবিক কাজ করছে। তিনি মানবিক কাজ করার লক্ষ্যে বন্ধু বান্ধবদের সাথে সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে তিনটি এতিম শিশুর জন্য সামান্য সহায়তা প্রদান করেছেন। তিনি মনে করেন সমাজের আরও লোকজন এ শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে।