মুবতাসিম ফুয়াদ তাসনিম, কুলাউড়া, (মৌলভীবাজার)ঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওরাঞ্চলে ধানকাটার ধুম পড়েছে। এ বছর সময় সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চারদিকে এখন বিরাজ করছে পাকা ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ। ধানকাটা, মাড়াই ও শুকানো ইত্যাদি নিয়ে হাকালুকি হাওর পাড়ের কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসে নেই কৃষাণীরাও।
জুড়ী উপজেলা কৃষিঅফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্র ধরা হয় ৫ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমিতে। তবে, আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৭৭০ হেক্টরজমিতে। কুলাউড়া উপজেলায়ও গত বছরের তুলনায় ধানের ফলন অনেক বেশী হয়েছে বলে কৃষকরা অনেক খুশি।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল মোমিন জানান, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে কুলাউড়া উপজেলায় ৭৯১২ হেক্টর এলাকায় বোরো ধান আবাদ হয় যা গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের চেয়ে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি।
হাকালুকি হাওর পাড়ের গ্রাম গুলো ঘুরে দেখা গেছে, সময় মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে অত্রাঞ্চলের কৃষকরা পাকাধান কাটতে শুরু করেছেন। তবে, মহামারি করোনার কারণে ধান কাটার জন্য শ্রমিক না পাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। তারপরও যে শ্রমিকদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের অধিক পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে। কৃষকদের সাথে কথাহলে, কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের বাদে ভূকশিমইল গ্রামের সুলতান আহমদ, ভূকশিমইল গ্রামের জাবেদ আহমদ, ভাটেরা ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের শামছুল হোসেন , জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবির , গণিসরদার , শিমুলতলা গ্রামের শাহআলম, ইউসুফনগর গ্রামের সুলতান মিয়া , নয়া গ্রামের হানিফ মিয়া ও পশ্চিম হরিরাম পুর গ্রামের আরিফ আহমদ জানান, এবারও আল্লাহর রহমতে বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকালে ২০-২৫ দিনেমধ্যে ফসলঘরে তোলা যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে, আগাম বন্যার জন্য কৃষকেরা কিছুটা চিন্তিত।