তাবলিগী মার্কাজ গুলোর দখল ছাড়তে বললেন জুনায়েদ সিদ্দিকী
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৭:৪৬,অপরাহ্ন ০৩ মে ২০২১ | সংবাদটি ৩৩৭ বার পঠিত
জোনায়েদ আহমেদ : তিনি বলেন শত বৎসরের ইতিহাসের মোবারক তাবলীগের মেহনত কে কলঙ্কিত করেছে তাবলীগের বিভেদ সৃষ্টিকারী পাকিস্তানি এজেন্টরা, তাবলীগের মুরুব্বী জুনায়েদ সিদ্দিকি বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বহির্বিশ্বে এ দেশর যে সুনাম অর্জন হয়েছে তার অন্যতম অর্জন হচ্ছে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় 130 টি ও বেশি দেশের বিদেশিরা অংশগ্রহণ করেন,ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের পর তারা নিজেদের জান মাল নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েন তারা নিজের আত্মশুদ্ধির জন্য
(ঈমান আমলের মেহনত করেন) টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র মানব জাতির কল্যাণের জন্য আমাদের মুরুব্বীরা দোয়া করেন। সেই সমস্ত বিদেশিদের ভিসা ও তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার। 2017 সালে বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্ব আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভী অংশ গ্রহণ করতে না পারেন । সেই জন্য বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে 7 ঘণ্টা অবরোধ করে রেখেছিল পাকিস্তানি এজেন্ট হেফাজতে ইসলাম তারা বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম নষ্ট করতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে উনার অনুসারিরা কাকরাইল মার্কাজে উনাকে নিয়ে যায় সেখানে তিনি তিন দিন অবস্থান করে দিল্লি চলে যান। তাবলীগের বিভেদ সৃষ্টিকারী জুবায়ের গ্রুপ হেফাজতিদের ব্যবহার করে কাকরাইলসহ সমগ্র বাংলাদেশে 30 টি মারকাজ মসজিদ দখল করে নিয়েছে জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন সে সম্সত জেলা মার্কাজ গুলো তাবলীগের সাথীরা নিজেদের অর্থায়নে তৈরি করেছে । অথচ দখল করে রেখেছে তাবলীগের বিভেদ সৃষ্টিকারী জুবায়ের গ্রুপ ও বিলুপ্ত হেফাজতে ইসলাম। তিনি বলেন অনতিবিলম্বে কাকরাইল সহ জেলা মার্কাজ মসজিদ গুলো জেলা প্রশাসক দখলমুক্ত করে তাবলিগ ওয়ালাদের হাতে হস্তান্তর করতে বলেন। অন্যতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ ।এদেশের সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করে আসছে।সকল ধর্মের মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ তাবলীগের সাথীরা তারা সকল মানুষের কল্যাণ চায় কিভাবে সকল মানুষের মধ্যে দুনিয়ার শান্তি আসে আর পরকালের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পেয়ে চিরস্থায়ি বেহেশতে যেতে পারে। সেই জন্য তাবলীগের সাথীরা নিজেদের জানমাল নিয়ে চিল্লা তিন চিল্লার জন্য দেশে বিদেশে সফর করে তারা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতে পায়ে ধরে মানুষের জীবনের কল্যাণমুখী পরিবর্তনের জন্য মেহনত করে আসছে । তিনি আরো বলেন যারা তাবলিগে বিভেদ সৃষ্টি করে করেছে তারা সূক্ষ্মভাবে মানুষের চেতনাকে নষ্ট করে আলেমদের সাথে আছি এই স্লোগানে আমজনতার মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে হক্কানী আলেম ও আম জনতার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেতে চেয়েছে। এই জুবায়ের গ্রুপ ও হেফাজতীদের হাতে বিভিন্ন দেশের বিদেশিরা লাঞ্চিত হয়েছে, 2018 সালের 26 শে এপ্রিল বিদেশিদের হত্যার উদ্দেশ্যে কাকরাইল মসজিদে জেমার বসিয়েছিল তখন রমনা থানায় ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নানকে আসামি করে পুলিশ একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করেছে। 2018 সালের 10 ডিসেম্বর কাকরাইল মসজিদে জুবায়ের গ্রুপ আটটি দেশের 13 জন বিদেশী মেহমান কে তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে শারিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে পরবর্তীতে তারা নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে পাসপোর্ট উদ্ধার করে নিজ দেশে যেতে বাধ্য হয়। 2019 সালের 19 শে মার্চ ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আরব দেশের জর্ডানের মেহমানদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করতে চেয়েছিল।
2019 সালের 7শে আগস্ট জয়পুরহাট ক্ষেতলালে ভারতীয় মেহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসিড পান করিয়েছিল, 2019 সালের 19শে রমাদ্বান কিশোরগঞ্জ কটিয়াদীতে কোরআনে হাফেজ আব্দুর রহিম কে পেট্রোল দিয়ে হত্যা করেছে এছাড়া প্রতিটি জেলায় বিদেশি জামাত চলতে বাধা দেয়। বিদেশীদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ের কলাকৌশলে ব্যর্থ হয়ে 2018 সালের পয়লা ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠে ইসমাইল মন্ডল মুন্সীগঞ্জ ও বেলাল হোসেন নোয়াখালী কে হত্যা করে নেক্কারজনক ঘটনা স্থাপন করেছে জুবায়ের গ্রুপ ও হেফাজতে ইসলাম। এমনকি ঢাকা শহর সহ সারা দেশের প্রতিটি মসজিদগুলোতে নিরীহ তাবলীগ সাথীদের মারধর করা হয়। জুনায়েদ সিদ্দিকি তাবলিগের বিভেদ সৃষ্টিকারী জুবায়ের গ্রুপের প্রতি আহবান করে বলেন আপনারাও দিল্লি নিজামউদ্দিন মার্কাজ থেকে তাবলীগ শিখেছেন আমরাও সেই মারকাজের অনুসরণ করে আসছি আসুন বিভেদ বিভাজন ভুলে গিয়ে। পূর্বের মত ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করে বিশ্ব আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভী কে আমির মেনে তাবলিগ করি। অন্যতায় হেফাজতিদের মত আপনারা ও একদিন প্রস্তাবেন।