শাহপরাণ মাজার এলাকার চোর সিন্ডিকেটের প্রধান বদরুলের দাপট
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৫:১৩,অপরাহ্ন ০৭ মে ২০২১ | সংবাদটি ৩১৮ বার পঠিত
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বদরুলের নেতৃত্বে মাজার এলাকায় কয়েক ধরণের চোরের সিন্ডিকেট রয়েছে। এই চোরদের একটি অংশ মাজার মসজিদে আসা লোকজনের জুতা চুরি করে থাকে। ভক্ত বা মুসল্লিরা জুতা রেখে মাজার বা মসজিদে প্রবেশ করলেই হাওয়া হয়ে যায় জুতা। জুতা ভালো মানের হলে মূহূর্তের মধ্যে চুরি হয়ে যায়। প্রতিদিন এভাবে অসংখ্য জুতা চুরি হয় মাজার এলাকা থেকে। মাঝে মধ্যে জুতা চোর ধরা পড়ে। কিন্তু বদরুলের দাপটের কারণে ছাড়া পেয়ে যায় জুতা চোর। স্থানীয়রা জানান জুতা চোর সিন্ডিকেটকে বদরুল সরাসরি আশ্রয় দেয়। চুরি করা জুতা বদরুলের আস্তানায় জড়ো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাজার এলাকায় পকেট চোরের একটি সিন্ডিকেট পরিচালিত হয় বদরুলের নেতৃত্বে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা মাজার এলাকায় ঘুরে বেরায়। মাজারে আসা ভিআইপি ভক্তদের পিছু নেয়া ওই চোর সিন্ডিকেটের কাজ। সুযোগ পেলে আশেকানের পকেট মেরে দেয় ওই সিন্ডিকেটের সদস্য। এই সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে অনেক আশেকান সর্বশান্ত হয়ে ফিরে যান। প্রতিদিনই অসংখ্য পকেট চুরির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বদরুলের সিন্ডিকেটে কয়েকজন লম্পট সদস্যও রয়েছে। লম্পট দলের সদস্যরা মাজারসহ আশপাশ এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত আশেকান দলের কিশোরীদের টার্গেট করে লম্পট দলের সদস্যরা। সুযোগ পেলেই কিশোরীদের যৌন নির্যাতন করতে হাত বাড়িয়ে দেয়। মানুষের ভীড়ে চলার পথে কিশোরীদের স্পর্সকাতর জায়গায় হাত দেয়। লোক লজ্জার ভয়ে কিশোরীরা বিষয়টি চেপে যান। অনেক সময় অভিভাবকের কাছে বলেও কোনো লাভ হয় না। কারণ অনেক দূর থেকে এসে লম্পটদের সাথে লড়াই করা সম্ভব নয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ওপেন হাউজ ডে-তে কয়েকবার স্থানীয়রা ওইসব লম্পটদের নিয়ে কথা বলেছেন। অনেকে জানিয়েছেন ভোররাতে আসা ভক্ত আশেকান দলের অনেক কিশোরী ভিন্ন সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনার পরও আজো প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ওই এলাকায় অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে। এসব মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হন। তা প্রতিরোধে স্থানীয়রা বারবার দাবি জানালেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।