মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে দলের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড ইউপি নির্বাচনে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে পূর্ব ঘোষিত প্রার্থী ছালিক আহমদের নাম প্রত্যাহার করে জাফর আহমদ গিলমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোননয়ন বোর্ড কুলাউড়ার ১৩ টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় কাদিপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালে নির্বাচনে জামানত হারানো দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী ছালিক আহমদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ছালিক আহমদ ছাড়াও এই ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমদ গিলমান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর। ছালিক আহমদের মনোনয়ন খবর পাওয়ার পর মনোনয়ন বঞ্চিত বাকি দুইজনের সমর্থক ও স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী থাকার পরও ছালিক আহমদ রজনীগন্ধা প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্ধিতা করেন। ওই নির্বাচনে তিনি মাত্র১১৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিলেন। একজন বিদ্রোহী প্রার্থীর নাম কিভাবে কেন্দ্রে পাঠালো স্থানীয় আ.লীগ এমন প্রশ্নে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দলের কেন্দ্রের মনোনয়ন বোর্ডকে বিষয়টি বুধবার অবহিত করলে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে কাদিপুরে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জাফর আহমদ গিলমানের নাম ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু বাংলাদেশ ভিউ’কে বলেন, তিন জনের নাম কেন্দ্রে পাঠাতে হয় তাই বাধ্য হয়ে অন্য দুই প্রার্থীর সাথে ছালিক আহমদের নামও দিতে হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর নাম কিভাবে কেন্দ্রে পাঠানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভূল হয়েছে তো কি হয়েছে, এখন কিতা আমরা জেলো যাইতামগি নি’।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী ছালিক আহমদের নাম বাদ দিয়ে জাফর আহমদ গিলমানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড। গত নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর নাম কিভাবে কেন্দ্রে পাঠানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি/সম্পাদকদের নিয়ে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কুলাউড়ায় একটি সভা হয়। সেই সভায় উপজেলা বা ইউনিয়ন কমিটির কোন নেতাই ছালিক আহমদ গত নির্বাচনে আ’লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন সেটা কেউ আমাদের জানায়নি। তাদের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রে আমরা তালিকা পাঠিয়েছি। এখন সেই ব্যক্তিকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ার পর বিষয়টি জেনে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছি। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে।