শাহজালাল বিশ্ববিদ্যলেয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৭:৩২,অপরাহ্ন ২৬ জানুয়ারি ২০২২ | সংবাদটি ৩৪৭ বার পঠিত
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক। তারা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার আহ্বান জানান। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা সকালে ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসিমনের হাতে পানি পান করে একযোগে অনশন ভাঙবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক শাবির পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর মুক্তির আশ্বাস দেন জাফর ইকবাল।
উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছ, যে দাবি তোমাদের সেটা পূরণ হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা দেরি করিনি, সরাসরি এখানে চলে এসেছি। আমরা তোমাদের অনশন না ভাঙিয়ে যাবো না। তোমরা পুরো দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছ।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন জাফর ইকবাল। এ সময় শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুরো দেশে আলোড়ন তুলেছে উল্লেখ করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা ইতিহাস গড়েছ। তোমাদের মাধ্যমে যে বার্তা গিয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের আগে একবার অন্তত ভাবা হবে। তোমাদের সঙ্গে দেশের সব তরুণ আছে।’
ছাত্রদের উদ্দেশে জাফর ইকবাল আরও বলেন, ‘তোমাদের আন্দোলনে ৩৪ জন ভিসির ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। এই ভিসি পদত্যাগ করলে তারাও পদত্যাগ করতে চেয়েছে। আমি ৩৪ জন ভিসির পদত্যাগ দেখতে চাই। তোমরা সারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে নাড়া দিয়েছ।’
তিনি বলেন, ‘আমি ধরে নিয়েছিলাম, অনশনের এখানে মেডিক্যাল টিম আছে। তারা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছে। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম, কোনও ডাক্তার নেই। ডাক্তাররা ছিলেন, কিন্তু তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে এখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি এসব ঘটনা বলবো। এখানে অনশনকারীদের অবস্থাই যখন এত খারাপ, তাহলে অসুস্থ ২০ জনের কী অবস্থা! আমি শঙ্কিত। এটা চরম অমানবিকতা। ’
গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার থেকে একই স্থানে অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন।