রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম থেকে এই খবর আসছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়,তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাসাসের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, ঢাকা মহানগর উত্তর জাসাসের আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম স্বপন,সদস্য সচিব আবদুল মালেক মুন্সি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসাসের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম স্বপন, সদস্য সচিব শফিকুল হাসান রতনসহ জাসাসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
রিজভী বলেন, গত নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে নিয়েছে নির্লজ্জ বেহায়ার মতো। বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন একই কাজ করবে। কারণ তারা শেখ হাসিনার বানানো নির্বাচন কমিশন। দেশে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যতীত কোনো দিন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
তিনি বলেন, জনগণের দাবি উপেক্ষা করে নিজেদের রচিত সার্চ কমিটি দিয়ে নিজেদের নির্বাচন কমিশন করেছেন। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) আওয়ামী চেতনায় লালিত। জয় বাংলার চেতনায় লালিত। তার (কাজী হাবিবুল আউয়াল) কথার কোনো গ্যারান্টি নেই। অতীতে তার যে কর্মকাণ্ড, তিনি তো এই সরকার দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছেন।
সিইসি আউয়ালের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলে কেউ কিছু করতে পারবে না। আপনার আগের কমিশন হুদা সাহেবও তাই বলেছেন। তারপর নির্লজ্জভাবে দিনের ভোট রাতে করেছেন। একতরফা নির্বাচন করেছেন। অর্থাৎ আজ সব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কবর দেওয়া হয়েছে।
পুরো নির্বাচন কমিশন,পুরো সার্চ কমিটি সম্পূর্ণরূপে প্রহসন দাবি করে তিনি বলেন, এগুলো সব প্রধানমন্ত্রীর চেতনায় লালিত, তারা প্রধানমন্ত্রীর চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রমোশন দিয়েছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর বাইরে যাবেন এ ধরনের দৃষ্টান্ত অতীতের কারও মধ্য থেকে পাইনি। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র গ্যারান্টি। নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে দেশের মানুষ সোচ্চার। আন্দোলনে সারা দেশের মানুষ রাজপথে বেরিয়ে আসবে।
রিজভী বলেন, ‘মধুর তোমার শেষ যে না পাই’.. রবীন্দ্র সংগীত। এত মধুর হাঁড়ি সরকারের কাছ থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল পেয়েছেন,তাকে দিয়ে এত কাজ করিয়েছেন যে, জনগণ বিশ্বাস করে না তিনি একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেন। কারণ তার মাথার ওপর তো শেখ হাসিনা আছেন।
নতুন সিইসির চা খাওয়ার আমন্ত্রণ সম্পর্কে রিজভী বলেন, এরকম কথা তো এর আগের প্রধান নির্বাচন কমিশনারও (কেএম নুরুল হুদা) বলেছিলেন। সেই আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অংশ নিয়েছিল।
বিএনপি নেতারা সে সময়ে ইভিএম বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, ইভিএমের ব্যাপারে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সন্দেহ আছে। একমাত্র ক্ষমতাসীন দল ছাড়া সব দলই এটার (ইভিএম) বিরুদ্ধে। ওই সময়ে সাবেক সিইসি বলেছেন যে, অধিকাংশ দল না চাইলে আমরা করব না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথায় তিনি ইভিএমে ভোট করেছেন ও দিনের ভোট রাতে করেছেন।