তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্যই দেশের মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এখনো সময় আছে চাল ডাল তেলের দাম কমাও, গ্যাস বিদ্যুৎ পানির দাম কমাও এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন। সরকার প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, কিন্তু এখন ৬০ টাকার নিচে চাল নেই। সয়াবিন ২০০ টাকা কেজি। মানুষের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে। বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে সরকার গুম করেছে। হাজারো মানুষ হত্যা করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। এর জন্য জবাব দিতে হবে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের পরিচালনায় ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম, মাহমুদুল হক রুবেল, ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, শাহ শহীদ সারোয়ার, হাসান জাকির তুহিন, সাইফুল আলম মিলন, জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ, কাজী রানাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাটা আওয়ামী লীগ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরা নির্বাচন করবে কিন্তু মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাও নিশ্চিত করবে। তারা তাদের মতো করে সিল মেরে কিংবা ইভিএম দিয়ে ভোট নিয়ে তাদের সরকার তৈরি করবে। অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় থাকবে ঠিকই, শুধু তারা দেখাবে যে নির্বাচন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক, মিথ্যাবাদীদল, অত্যাচারী দল। সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে নিজেরা বড়লোক হচ্ছে। মেগাপ্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। নিজেরা নিজেদের পকেট ভারি করছে, লুট করছে, লুটের টাকা বিদেশে পাচার করছে। দুদক পুটি মাছ ধরে বোয়াল মাছ ধরতে পারেনা। খালেদা মামলা মিথ্যা মামলা। আওয়ামীলীগ নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে, তাদের মামলা হয় না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ডক্টর জাফরুল্লার বিএনপি’র কেউ না, ডক্টর জাফরুল্লার সঙ্গে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই। তার বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়। এবার আর এক তরফা নির্বাচন হবে না। সময় আছে চাল ডাল তেলের দাম কমাও। পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে। সরকার পতনের এ আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান মীর্জা ফখরুল।