দু’দিন পর শারদীয়য় দূর্গোৎসব শুরু, প্রস্তুত কুলাউড়ার দু’শতাধিক পুজামন্ডপ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৭:১৮,অপরাহ্ন ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | সংবাদটি ২০২ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দৃু’দিন পরেই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবকে ঘিরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ণপ্রস্তুত দুইশতাধিক মণ্ডপ।
কুলাউড়ার কাদিপুর শিববাড়িতে এ বছর সিমেন্টের তৈরি এক হাজার হাতের দেবী দুর্গা স্থাপিত হয়ে পূজিত হবেন। বিশালাকার এ মূর্তি শিববাড়ি মন্দিরের মূল আকর্ষণ। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর পূর্বেই আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ হবে। সিমেন্টের তৈরি এই দুর্গা প্রতিমা প্রায় ২৩ ফুট উঁচু।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে উপজেলা ও থানা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে কোনো অশুভচক্র যাতে সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানানো হয়।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ডা. অরুনাভ দে জানান, এ বছর কুলাউড়ায় ব্যক্তিগতভাবে ২৩টিসহ মোট ২১৮টি সার্বজনীন পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপুজার আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মণ্ডপগুলোতে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক জানান, দুর্গাপুজাকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রতি পুজা মণ্ডপে দুইজন করে পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার স্থরের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। পূজায় কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের ২১ দফা অনুসরণ করে কুলাউড়ায় এ বছর উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ইতোমধ্যে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনও প্রস্তুত রয়েছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে জেলার সব উপজেলায় সম্প্রীতি সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।