সৌদিতে গিয়ে নিজ গুণগান গেয়ে যা বললেন মোদি
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪৮:১৯,অপরাহ্ন ৩১ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৫৮ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি সফরে গিয়ে ফের নিজ গুনগান প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ তিনি প্রচারে থাকতে চান। সৌদি আরবে গিয়ে নিজের চা বিক্রির ইতিহাস টেনে আবার নিজেকেই তুলে ধরলেন মোদি। বললেন, বই পড়ে দারিদ্র্য সম্পর্কে শিখিনি। আমি দারিদ্রের মধ্যেই বড় হয়েছি ।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া সৌদি আরবে তিন দিনের দাভোস সম্মেলনে যোগ দিতে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার রাতেই দিল্লি ছাড়েন মোদি। সফর শেষে বুধবার সকালেই দিল্লি ফেরেন তিনি।
মোদি বলেন যে, কোনও ‘রাজনৈতিক পরিবার’-এ মানুষ হননি তিনি। বরং খুবই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ তিনি এবং রেল প্ল্যাটফর্মে চা বিক্রি করা তাঁর জীবন যাত্রার একটি অংশ ছিল।
“আমার ব্যাকগ্রাউন্ড কোনও বড় রাজনৈতিক পরিবারের নয়। আমি বই পড়ে দারিদ্র্য সম্পর্কে শিখি নি, আমি দারিদ্রের মধ্যেই বড় হয়েছি। রেল প্ল্যাটফর্মে চা বিক্রি করে আজ এখানে পৌঁছেছি,” ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই)-এর এক প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
“কয়েক বছরের মধ্যেই, ভারত দারিদ্র্য দূরীকরণে সফল হবে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমার লড়াই দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই। দরিদ্রের মর্যাদার প্রয়োজন। যখন কোনও দরিদ্র ব্যক্তি বলে যে সে নিজেই তার দারিদ্র্যের অবসান ঘটাবে, তখন এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কিছুতে নেই। আমাদের কেবল দরকার তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদান এবং তাঁকে ক্ষমতাবান করা,” বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
তিনি বলেন যে, শৌচাগার নির্মাণ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত ভারতের দরিদ্রদের ক্ষমতাবান করেছে এবং তাঁদের মর্যাদার অনুভূতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ভারতে যখন পরিবর্তন আসে তখন পুরো বিশ্বের পরিসংখ্যান বদলে যায়।
“যখন দেখি ভারতের পরিবর্তন বিশ্বের পরিসংখ্যানের পরিবর্তন নিয়ে আসছে, তখন আমি প্রচুর তৃপ্তি পাই। আমরা যখন ভারতকে খোলাস্থানে শৌচমুক্ত বা open-defecation-free (ওডিএফ) করি বা দারিদ্র্য নির্মূল করি, তখন বিশ্বের পরিসংখ্যান পরিবর্তিত হয়। এই বিষয়টা আমাদের তৃপ্তি দেয় যে আমরা বিশ্বের উন্নতিতে অবদান রাখছি,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের নাগরিকদের জন্য মোদি সরকারের শৌচাগার তৈরির প্রকল্প এবং অন্যান্য জনপ্রিয় কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিক্রিয়া জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।