সীমান্তে শান্তি ফেরাতে রাজি চীন-ভারত
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০২:৫৭,অপরাহ্ন ১৮ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৩১৩ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাদাখ সীমান্তে চীনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বুধবার ফোনালাপ হয়েছে। এতে বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বর্তমান দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মেনে চলতে সম্মত হয়েছেন দুপক্ষ।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে ভারতীয় বিশ্লেষকরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সেখানে এমন চড়া ভাষ্য খুব একটা শোনা গেল না, যাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন চীনবিরোধী ব্লকে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে বিরত রাখতে চাচ্ছে। অন্ততপক্ষে তা হওয়ার কথাও নয়; কারণ চীনের সঙ্গে চুক্তিগুলো নিরপেক্ষতার অনুমানের ভিত্তিতেই ঘোষণা করা হয়েছিল।- খবর ডনের
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনালাপে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একমত হন যে সার্বিক পরিস্থিতি দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে সমাধান করা হবে এবং দুপক্ষই নিষ্ক্রিয়করণ সমঝোতা ৬ জুন থেকে আন্তরিকভাবে কার্যকর করবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন ভারতের কাছে।
এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি বিধানের পাশাপাশি ভারতের উচিত সামনের সারিতে থাকা সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা। সোমবার লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় দুই দেশ একে অপরকে দোষারোপ করেছে। এর পরই দুপক্ষ উত্তেজনা প্রশমনে রাজি হওয়ার খবর এলো। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যে মতৈক্য হয়েছে, সেই মতো দুপক্ষেরই কাজ করা উচিত।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় একযোগে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে সেখানকার পরিস্থিতি ঠিকভাবে সামাল দেয়ার জন্য বিদ্যমান চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সমন্বয়ও বাড়ানো উচিত।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুপক্ষই উত্তেজনা প্রশমনে শান্তিপূর্ণভাবে এবং দুদেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে হওয়া মতৈক্য অনুযায়ী কাজ করাসহ মাঠপর্যায়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে একমত হয়েছে।
সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পাথর, রড নিয়ে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পর দুপক্ষের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করেন।
কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলতে থাকার মধ্যেই চীন ভারতকে সীমান্তে তাদের সেনাদের সংযত রাখা এবং সীমান্তে উসকানি বন্ধের দাবি জানায়।